কলকাতা: মিলেছে প্রতিশ্রুতি, তবুও অমিল চাকরি। আর তাই আবারো আন্দোলন ও অবস্থান বিক্ষোভের পথেই পা বাড়াল এসএসসি পদপ্রার্থীরা। তারই ফলস্বরূপ বৃহস্পতিবার সকালে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বেহালার বাড়ির সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন চাকরি প্রার্থীরা। দাবি একটাই, “চাকরি চাই”।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সকালেই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বেহালার বাড়ির সামনে জমা হন প্রায় ১৭০০ চাকরি পদপ্রার্থী। তাদের অভিযোগ তারা বঞ্চিত এবং প্রতারিত হয়েছেন রাজ্য সরকারের দ্বারা। আন্দোলনকারীদের মধ্যে একজন বলেন, “যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও আমাদের চাকরি দেওয়া হয়নি।” তাদের দাবি, “বিশেষত কর্মশিক্ষা ও শরীরশিক্ষার প্রার্থীরা বঞ্চনার শিকার হয়েছেন।” এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় বেহালা এলাকায়।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে কলকাতার ধর্মতলা মেও রোডের উপর কলকাতা প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শামিল হন হাজার হাজার এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ও মেধাতালিকায় অন্তর্ভুক্ত পদপ্রার্থী। সেই বছর ২৭ শে ফেব্রুয়ারি থেকে ২৬ শে মার্চ টানা একমাস চলে এই বিক্ষোভ। এই বিক্ষোভের জেরে উত্তাল হয়েছিল গোটা রাজ্য। এবং শেষ পর্যন্ত রাজ্য সরকার নতিস্বীকার করে তাদের কাছে এবং স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের সঙ্গে কথা বলে তাদের চাকরি দেওয়ার আশ্বাস জানিয়েছিলেন।কিন্তু ২ বছর পেরিয়ে গেলেও কেউ কথা রাখেনি! সরকারের তরফে গড়িমসি চলেছে দীর্ঘদিন। কোনোরূপ চাকরি হয়নি উত্তীর্ণ ওই চাকরি পদপ্রার্থীদের। আর তাই তারা আজ আবার অবস্থান বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন। তবে এবার আর রাস্তায় নয়, সোজা শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ির সামনে। এই ঘটনায় এলাকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে তা সামাল দিতে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়। পরে পুলিশবাহিনী আন্দোলনকারীদের হটিয়ে দেয় সেখান থেকে। আন্দোলন থামিয়ে দেওয়া হলেও চাকরি কি মিলবে না তাদের? প্রতিশ্রুতি কি রাখবে না রাজ্য সরকার? এই প্রশ্নে আপাতত দিশেহারা রাজ্যের বেকার যুবক-যুবতী’রা।