বরানগর: বরানগর প্রতিবন্ধী হাসপাতালের হস্টেলে ছাত্রমৃত্যু ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা। হাসপাতালের গেট বন্ধ রেখে বিক্ষোভ শুরু করলেন পড়ুয়ারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বরানগর থানার পুলিশ। পুলিশের গাড়ি পৌঁছতেই তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা। এই অশান্তির কারণ কী?
আরও পড়ুন- কোনও ভিভিআইপি গাড়ির জন্যেই বন্ধ করা যাবে না রাস্তা, নির্দেশ স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর
বরানগরের বনহুগলিতে প্রতিবন্ধী হাসপাতালের হস্টেল থেকে এক ছাত্রের দেহ উদ্ধার হয়। এর পরেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় হাসপাতাল চত্বরে।প্রতিবন্ধী হাসপাতালের হস্টেলের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া ছিলেন প্রিয়রঞ্জন সিং। তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে হস্টেল থেকে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা বয়৷ পড়ুয়াদের অভিযোগ, হাসপাতালে কোনও রকম ইমার্জেন্সি ব্যবস্থা নেই। সেই কারণে সাগর দত্ত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হচ্ছিল প্রিয়রঞ্জনকে৷ কিন্তু, হাসপাতালে পৌঁছনোর আগে মাঝপথেই মৃত্যু হয় তাঁর৷ এর পরেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন ছাচ্ররা৷ হাসপাতালের গেট বন্ধ করে চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ করে দেন তাঁরা। তাঁদের আরও অভিযোগ, খবর পেয়েও দেরি করে এসেছে বরানগর থানার পুলিশ। সেই ক্ষোভেও পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা।
হোস্টেলের ছাত্ররা জানাচ্ছন, হোস্টেলে প্রিয়রঞ্জনের ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। কিন্তু, বাইরে থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান সহপাঠীরা।দরজা ভেঙে তাঁরে উদ্ধার করে বাঁচানোর চেষ্টাও করেন তাঁরা৷ বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের বক্তব্য, তখনও পর্যন্ত প্রিয়রঞ্জনের শরীরে প্রাণ ছিল। তাঁকে বাঁচানোর জন্য কলেজ প্রশাসনের কাছে সাহায্য় চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু, কেউ সহযোগিতা করেননি৷ এমনকি কলেজে কোনও অ্যাম্বুল্য়ান্সও ছিল না বলে দাবি তাঁদের। কারও সাহায্য় না পেয়ে অবশেষে এক পড়ুয়ার বাইকে করে প্রিয়রঞ্জনকে সাগর দত্ত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, সেখানে পৌঁছনোর আগেই সব শেষ হয়ে যায়৷