অমাবস্যায় ভরাকোটালের প্রবল জলোচ্ছ্বাস, প্লাবিত সাগরের বিস্তীর্ণ এলাকা

জলমগ্ন এলাকাগুলির মধ্যে সবথেকে খারাপ পরিস্থিতি বঙ্কিম নগর, সুমতি নগরের।  জলোচ্ছ্বাসের ফলে মানুষের বাড়িঘরে জল ঢুকে পড়ায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ১০০ থেকে ১২৫ টি পরিবারকের জন্য রান্না করা খাবার সরবরাহের ব্যবস্থা করেছে ব্লক প্রশাসন।

নিজস্ব প্রতিবেদন, ক্যানিং: একেই ভরা বর্ষা, তার ওপর কৌশিকি অমাবস্যায় ভরাকোটালের প্রবল জলোচ্ছ্বাস। এই দুইয়ের জোড়া প্রভাবে প্লাবিত দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগর ব্লকের বিস্তির্ণ এলাকা। শুক্রবার সকালে ভরাকোটালের জেরে হঠাৎ করেই বাঁধ উপচে মুড়িগঙ্গা নদীর নোনা জল ঢুকতে শুরু করে লোকালয়ে। জলের তোড়ে ভেঙে যায় বাঁধের বেশ কিছুটা অংশ। ফলে কার্যত জলমগ্ন হয়ে পড়ে সুমতিনগর, বঙ্কিমনগর, মন্দিরতলা, কচুবেড়িয়া সহ সাগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বোটখালি,মনসা বাজারের বিস্তির্ণ এলাকা।

এছাড়াও জলমগ্ন হয়ে পড়েছে  সাউথঘেরী, কচুবেড়িয়া দশতলা,বেগুয়াখালি, ঘোড়ামারা,মৌসুমী, ময়লাঘেরী, দেবনগর,নারায়ণগঞ্জ। সাগর কেন্দ্রের বিধায়ক বঙ্কিম চন্দ্র হাজরা জলমগ্ন এলাকাগুলিতে একটা তালিকা দিয়ে জানিয়েছেন এই জলমগ্ন এলাকাগুলির মধ্যে সবথেকে খারাপ পরিস্থিতি বঙ্কিম নগর, সুমতি নগরের।  জলোচ্ছ্বাসের ফলে মানুষের বাড়িঘরে জল ঢুকে পড়ায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ১০০ থেকে ১২৫ টি পরিবারকের জন্য রান্না করা খাবার সরবরাহের ব্যবস্থা করেছে ব্লক প্রশাসন।

বিধায়ক নিজেই স্বীকার করেছেন যে, এই বঙ্কিম নগর ও সুমিত নগর ঘোড়ামারা,কচুবেড়িয়া দশতলা সহ  মৌসুমী দ্বীপের বেশ কিছু এলাকায়   প্রতিবছর কোটালে বা খারাপ আবহাওয়ার জলোচ্ছ্বাসের ফলে মুড়িগঙ্গা নদীর নোনা জল ঢুকে পড়ে চাষের জমিতে। ফলে ফসল এবং পান চাষের দারুন ক্ষতি হয়। বোল্ডার দিয়ে অস্থায়ী বাঁধ দেওয়া হলেও তা কাজে লাগেনা। তবে এখানকার বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি মতো চলতি বছরের শেষের দিকেই এলাকায় পাকাপাকি বাঁধ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। এই পরিকল্পনায়  সরকারি ভাবে অর্থও বরাদ্দ করা হয়েছে এবং আগ্রহী সংস্থাকে কাজের বরাত দিতে টেন্ডারও ডাকা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বঙ্কিম বাবু।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *