রায়গঞ্জ: 'বুদ্ধিমান' চোরের দাপটে কার্যত দিশেহারা ইসলামপুর থানার পুলিশ। চুরি আটকাতে অথবা মানুষের আনাগোনার উপরে নজর রাখার জন্য বিভিন্ন জায়গায় সিসিটিভি লাগানো রয়েছে। সিসিটিভি লাগানো জায়গায় চুরি করতে গেলে সি সি টিভি তে ধরা পড়ে যাওয়ার ভয় থাকে। সিসিটিভি থেকে বাঁচতে দুইহাতে গ্লাভস,পরনো রেইন কোট,মাথায় টুপি এবং সাদা রুমাল দিয়ে মুখ ঢেকে পুলিশের নাকের ডগায় চুরি করলো এক ব্যক্তি।
বুধবার ভোররাতে ইসলামপুর থানার ঠিক উল্টোদিকে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের উপড়ে একটি মন্দিরে লক্ষাধিক টাকার অলংকার চুরি হয়।খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে। মন্দিরে লাগানো সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশের কার্যত চক্ষু চড়কগাছ। ফুটেজে ওই দুষ্কৃতীকে চেনার কোন উপায়ই নেই।ইসলামপুর থানার উল্টো দিকে সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দিরে এমনই ভাবে স্বর্নলঙ্কার চুরি করার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।ফুটেজে দেখা গিয়েছে, চুরি করারা সময় ওই ব্যক্তি রেনকোট পরে, মাথায় টুপি লাগিয়ে, রুমালে মুখ ঢেকে তালাভেঙে মন্দিরে ঢোকে। তার হাত ও পায়ের ছাপটুকুও যাতে না ধরা যায়,সেইজন্য সে হাতে গ্লাভস ও পায়ে মোজা পরেছিলো।
মন্দির কমিটির অভিযোগ এই মন্দিরে দ্বিতীয়বার চুরির ঘটনা ঘটল।প্রথমবার পুলিশ দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ হয়েছে।থানার উল্টো দিকে মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটায় তারা নিরপত্তা হীনতা বোধ করছেন। মন্দির কমিটির সদস্য বীরেন দাসের অভিযোগ করেছেন,ইসলামপুর থানার গেটের উল্টোদিকে মন্দির হওয়ায় মন্দিরে নিরাপত্তা রক্ষীর ব্যবস্থা করা হয়নি।নিরাপত্তারক্ষীর ব্যবস্থা না থাকলেও সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে।এর আগেও মন্দিরে চুরি হয়েছিল।পুলিশ তার কিনারা করতে ব্যর্থ হয়েছে।
ইসলামপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, এই চুরির থেকেও চুরি করার ধরন নিয়ে তারা বেশি চিন্তিত। কোনও চুরির ঘটনার পর চোরকে চিহ্নিত করতে পুলিশ যে প্রমানগুলি খতিয়ে দেখে, সেই ব্যাপারে এই চুরির সাথে যুক্ত ব্যক্তি ওয়াকিবহাল। সেই কারনে সে কার্যত কোনও প্রমানই রেখে যায়নি।তবে বিকল্প রাস্তায় ওই চোরকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।তাকে গ্রেপ্তার না করলে খুব শীঘ্রই শহরে বড় ধরনের ঘটনা ঘটে যেতে পারে ইসলামপুর থানার পুলিশ আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।