‘দেবাংশুকে তৃণমূলে এনেছেন’, বলতেই ফাঁসলেন ‘তৃণমূলের মিডিয়া মুখপাত্র’

‘দেবাংশুকে তৃণমূলে এনেছেন’, বলতেই ফাঁসলেন ‘তৃণমূলের মিডিয়া মুখপাত্র’

কলকাতা:  তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের ‘মিডিয়া মুখপাত্র’! তাঁর হাত ধরেই নাকি তৃণমূলে ঢুকেছেন দেবাংশু ভট্টাচার্য৷ এই ভাবেই চলছিল প্রতারণার চক্র৷ অবশেষে চক্র ফাঁস৷ অসমের কোকরাঝোড় থেকে গ্রেফতার আনিসুর রহমান নামে এক যুবক৷  তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশের টাস্ক ফোর্স৷

আরও পড়ুন- ঝালদা থানায় বিধ্বংসী আগুন, সেখানেই সরক্ষিত সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ

তদন্তে জানা গিয়েছে, আনিসুর নিজেকে রাজীব চৌধুরী নামে পরিচয় দিতেন৷ বলতেন, তিনি সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের মিডিয়া মুখপাত্র৷ মিথ্যে পরিচয় ভাঙিয়ে গত কয়েক বছরে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন আনিসুর৷ তবে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে দেবাংশুর অভিযোগের ভিত্তিতেই৷ বালি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন তিনি৷ দেবাংশুর অভিযোগ, তাঁর নামে বিভিন্ন জায়গায় ভুল কথা বলেছেন আনিসুর৷ তিনি দেবাংশুকে তৃণমূলে ঢুকিয়েছেন, এহেন কথা তাঁর কানে যেতেই আনিসুরকে ফোন করেন দেবাংশু৷ তখন ফোনে তাঁকে হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ৷ এর পরেই বালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তৃণমূলের তরুণ নেতা৷ 

তদন্তে নেমে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে পুলিশের হাতে৷ জানা যায়, কৈখালি জেটলিং অ্যাভিয়েশন নামে একটি অফিস খুলেছিলেন তিনি৷ এর পর বেকার যুবক-যুবতীদের চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা তোলেন৷ নারায়ণপুর এলাকায় একটি বিলাসবহুল আবাসন রয়েছে তাঁর৷ রয়েছে দামি গাড়ি৷ কলকাতার রাস্তায় ঘোরাফেরা করেন বিএমডব্লিউ চড়ে৷ তদন্তে পুলিশ আরও জানতে পারে, আনিসুর ফোনে নিজেকে মুখ্যমন্ত্রীর পিএসও অশোক চক্রবর্তীর লোক বলে পরিচয় দিতেন৷ এমনকী এই পরিচয়ে তিনি ফোন করতেন জেলা তৃণমূলের নেতাদেরও৷ 

আনিসুর ও দেবাংশুর ফোনালাপের একটি অডিও প্রকাশ্যে এসেছে৷ যেখানে দেবাংশুকে সরাসরি প্রশ্ন করতে শোনা যায়, ‘‘আপনি নাকি বলে বেরাচ্ছেন, আপনি আমাকে দলে ঢুকিয়েছেন৷’’ জবাবে আনিসুর বলেন, ‘‘আমি একথা বলেছি? আমি তো বলি দেবাংশু আমার ভাই৷ আমরা একসঙ্গে বসে চা খাই৷’’ দেবাংশুর প্রশ্ন, ‘‘আপনি কে বলুন তো?’’  আনিসুর জানান,তিনি দলের মিডিয়া মুখপাত্র৷ আইন প্র্যাকটিস করছেন৷ এর পর দেবাংশু অভিযোগ পেতেই খোলে রহস্যের জাল৷