আজ বিকেল: সিউড়ির কর্মী সভায় ভোট চুরির দাওয়াই দিলেন বীরভূমের কেষ্ট। লোকসভা ভোটের আগে যখন বাংলা উত্তাল ঠিক তখনই ফের বিতর্ক তৃণমূলে। এদিন তৃণমূলের জেলাসভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, অনেক বেশি ভোটে জিততে হবে। ভোট চুরি করুন। তিনি বলেন, সবাই যেমন চুরি করে, তেমন ভোট চুরি করবেন, কী পারবেন না! দলের কর্মীও আনুগত্যের সঙ্গে ঘাড় নাড়লেন। সিউড়ি দু-নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীসভায় ফের বাঁধ ভাঙলেন অনুব্রত,জড়ালেন নয়া বিতর্কে।
মঞ্চে তখন জেলার দলীয় নেতার বসে রয়েছেন, তাঁদের সামনেই, সমস্ত কর্মীদের উদ্দেশ্যে বললেন ভোট চুরির কথা। প্রকাশ্য জনসভায় বীরভূমের জেলা সভাপতির এহেন নিদানে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে সুযোগ নিতে ছাড়েনি রাজ্যের অন্যতম বিরোধী বিজেপি, তৃণমূলের স্বরূপ এবার প্রকাশ্যে চলে আসছে। তাঁরা যে ভোট চুরি করেই জিতেছে, আবারও যে তারা সেই পরিকল্পনা করেই জয়ের ঘুঁটি সাজাচ্ছে, তা অনুব্রত মণ্ডলের কথাতেই পরিষ্কার। বিজেপির দিলীপ ঘোষের সঙ্গে সঙ্গে সিপিএমের শমীক লাহিড়িও অনুব্রতর নিন্দায় সরব হয়েছেন।
দলের কর্মী সভার বৈঠকে তিনি মাইক্রোফোন হাতে প্রশ্ন করছেন, কত লিড ছিল, লোকসভায় কত লিড হবে। তারপর ওই বুথ থেকে কত লিড চাই, তাও জানিয়ে দিচ্ছেন বীরভূম তৃণমূলের কাণ্ডারি। আর তারপরই ভোট চুরির পরামর্শ ফের বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে এনে ফেলল তাঁকে।