কলকাতা: বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তিক্ত ও ভয়াবহ অভিজ্ঞতার পুনরাবৃত্তি রোধ করার জন্য এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে সমস্ত ভোটদাতা ও ভোটকর্মীদের সশস্ত্র কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার দাবিতে মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির তরফে গত ১২ জুন রাজ্য নির্বাচন দফতরে ডেপুটেশন প্রদান করা হয়। এই ইস্যুতে কলকাতা হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সশস্ত্র নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য সমিতির তরফে একাধিক আধিকারিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে পিটিশন জমা দেওয়াও হয়েছিল। কিন্তু সেই মতো নিরাপত্তা দেওয়া হয়নি বলেই দাবি উঠেছে।
মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি (STEA) দাবি করেছে তারা সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, রাজ্য নির্বাচন কমিশনার, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং ভারতের নির্বাচন আয়োগকে ডেপুটেশন দিয়েছিল এই ব্যাপারে। ভোটদাতা ও ভোটকর্মীদের রাষ্ট্রীয় সশস্ত্র নিরাপত্তা ছাড়াও দুর্ঘটনা বা হিংসার কারণে নিহত ভোট কর্মীদের ৫০ লক্ষ টাকা ও আহতদের ৩০ লক্ষ টাকা এবং পরিবারের একজনের চাকরি সুনিশ্চিত করার জন্যও আবেদন করা হয়। তবে এখন তাদের দাবি, পাথরপ্রতিমা ও সাগরের বিভিন্ন দ্বীপে আজ নির্বাচন কর্মীদের যে দল পৌঁছেছে সেখানে সশস্ত্র নিরাপত্তা বাহিনীর চিহ্নমাত্র নেই।
এই পরিপ্রেক্ষিতে সংগঠন জানিয়েছে, রাজ্যের সমস্ত জেলার জন্য তাদের তরফ থেকে হেল্পডেস্ক খোলা হয়েছে; ভোট কর্মীদের সহায়তা প্রদান করার জন্য। রাজ্য নির্বাচন কমিশনে হেল্পডেস্কের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই মেল পাঠানো হয়েছে। তাদের আশঙ্কা, ৮ জুলাইয়ের নির্বাচন হিংসা তথা সন্ত্রাসের পূর্বের সমস্ত রেকর্ড ম্লান করে দেবে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নীলকান্ত ঘোষ ভোটকর্মীদের জন্য STEA হেল্পলাইন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন। জানান হয়েছে, রাজ্যের নির্বাচন কমিশনের কন্ট্রোল রুম ফোন নম্বর – ১৮০০৩৪৫৫৫৫৩। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ই-মেইল- sec-wb@nic.in। এছাড়া মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির ই-মেইল- steakolkata@gmail.com। পাশাপাশি জেলাভিত্তিক হেল্পলাইন নম্বরও দেওয়া হয়েছে।