ভোটকর্মীর মৃত্যুতে দায়ী কমিশন! ৫০ লক্ষ ক্ষতিপূরণের সঙ্গে চাকরির দাবি সংগঠনের

ভোটকর্মীর মৃত্যুতে দায়ী কমিশন! ৫০ লক্ষ ক্ষতিপূরণের সঙ্গে চাকরির দাবি সংগঠনের

কলকাতা: পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটকর্মী রেবতী মোহন বিশ্বাসের মৃত্যুতে ক্ষতিপূরণ এবং তাঁর স্ত্রীর স্থায়ী চাকরির দাবিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে ডেপুটেশন জমা দিল মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি বা STEA। এই ঘটনায় নির্বাচন কমিশন দায়ী অভিযোগ করেই ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে। এদিন তাই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে স্মারকলিপি প্রদান করে এই সংগঠন। 

নির্বাচনে কর্তব্যরত প্রিসাইডিং অফিসার রেবতী মোহন বিশ্বাস নদীয়ার তেহট্টের হাঁসপুকুরিয়া বিদ্যাপীঠের মাধ্যমিক শিক্ষক ছিলেন। ভোটের দিন তাঁর শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও করিমপুরের বিডিও ওই ব্লকের ১৩৪ নং বুথে প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব তাঁকেই দেন। ওই বুথেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন, পরে হাসপাতালে মারা যান। এই ঘটনার প্রতিবাদে এবং মৃতের পরিবারকে ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ও একজনের স্থায়ী চাকরির দাবিতে গত ১৭ জুলাই নদীয়া জেলায় সমিতির পক্ষ থেকে জেলাশাসকের কাছেও ডেপুটেশন দেওয়া হয়। কিন্তু এখনও কোনওরূপ কার্যকরী পদক্ষেপ না হওয়ায় আজ  নির্বাচন কমিশনে স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচি হয়েছে।

p

আজকের এই কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির রাজ্য সহ-সভাপতি আনন্দ কুমার বসু, সমিতির পত্রিকা সম্পাদক শম্ভু মান্না, সমিতির নদিয়া জেলার সহ-সভাপতি জয়দেব মুখোপাধ্যায়, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক অনিমেষ হালদার। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন নেতৃত্ব সুব্রত বাগচী , কমল দত্ত প্রমুখ। সমিতির পত্রিকার সম্পাদক শম্ভু মান্না বলেন, নির্বাচনে ভোটকর্মী হিসেবে শিক্ষক, শিক্ষা কর্মীদের কাজে লাগানো হচ্ছে অত্যন্ত নিরাপত্তাহীন ভাবে। একাধিক অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও জোর করে নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করতে বাধ্য করছে কমিশন। যার ফলে রেবতী মোহন বিশ্বাসের এই ঘটনা। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ten − seven =