নয়াদিল্লি: ‘আত্মনির্ভর ভারত’ লক্ষ্যে ২০ লক্ষ কোটির আর্থিক প্যাকেজ আগেই ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ সেই ঘোষণা অনুযায়ী আজ রবিবার পঞ্চম পর্যায়ে করোনা মোকাবিলায় রাজ্যগুলিকে সরাসরি অনুদানের ব্যবস্থা না করে ঋণ দেওয়ার বিষয়ে ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন৷ সরকারের নয়া নীতির জেরে চরম অস্বস্তিতে রাজ্য৷
আজ দুপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে রাজ্যগুলিকে ইতিমধ্যেই ১১ হাজার কোটি বেশি টাকা দেওয়া হয়েছে৷ স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফেও ৪ হাজার কোটি বেশি টাকা দেওয়া হয়েছে৷ প্রয়োজনে রাজ্যগুলি ৩ সপ্তাহের জন্য রিজার্ভ ব্যাংকের থেকে ওভারড্রাফট করাতে পারবে৷ রাজ্যগুলি ৮৬ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবে৷ একইসঙ্গে রাজ্যগুলিকে ঋণ দেওয়ার ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে বলেও ঘোষণা করেছেন নির্মলা৷
করোনা মোকাবিলায় অনুদাবের পরিবর্তে রাজ্যগুলির ৮৬ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে বলেও ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী৷ জিডিপির নিরিখে ৩ শতাংশের পরিবর্তে ৫ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ নেওয়া জন্য রাজ্যগুলিকে ছাড় দেওয়া হয়েছে৷ কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, এর ফলে ৪.২৮ লক্ষ কোটি টাকা রাজ্যগুলি বাজার থেকে ঋণ নিতে পারবে৷ কিন্তু করোনা মহামারী পরিস্থিতির মধ্যে রাজ্যগুলিকে অনুদান না দিয়ে কেন ঋণের বোঝা চাপানো হচ্ছে? কেন্দ্র সরকার কি পারত না রাজ্যগুলির জন্য পৃথক পৃথক প্যাকেজ ঘোষণা করতে? উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন৷
কেন্দ্রের এই ঘোষণা বিড়ম্বনা বাড়িয়েছে নবান্নের! চলতি বছর ১০ ফেব্রুয়ারি রাজ্য বাজেট ঘোষণা করে বাংলার অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র জানিয়েছিলেন, সরকারের মাথার উপর রয়েছে ৪ লক্ষ ৭৪ হাজার ৮৩১ কোটি টাকার ধারের বোঝা৷ যদিও, পরিসংখ্যান বলছে, ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যের মোট ঋণের পরিমাণ ছিল, ২ লক্ষ ৭ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি৷ কিন্তু, গত ন’বছরে সেই ধারের বোঝা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ ৭৪ হাজার ৮৩১ কোটি টাকা৷ সম্প্রতি, মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন চলতি বছরে বেশ কিছু ঋণ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে৷ ফলে, বোঝা আর বাড়ছে৷ বিরোধীদের অভিযোগ, রাজ্যের যা পরিস্থিতি, তাতে গড়ে প্রত্যেক রাজ্যবাসীর ঘাড়ে জনপ্রতি ৪৭ হাজার টাকার দেনা চেপে গিয়েছে৷ গত শেষ বাজাটে বাজার থেকে আরও ঋণ নেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র৷
States have so far borrowed only 14 per cent of the limit which is authorised to them. 86 per cent of the limit remains unutilised. Centre has decided to increase borrowing limits of states from 3 per cent to 5 per cent of Gross State Domestic Product (GSDP) for 2020-21: FM pic.twitter.com/0B0igm2pGU
— ANI (@ANI) May 17, 2020