অবশেষে ভোটের জন্য প্রস্তুত রাজ্য, দিনক্ষণ জানাল রাজ্য

পুরো ভোট নিয়ে রাজ্য সরকারের প্রস্তাব অনুসারে ১২ এপ্রিল কলকাতা, হাওড়া, শিলিগুড়ি ও আসানসোল পুরনিগমের ভোট। আসদ্বিতীয় দফার ভোট এপ্রিলের শেষে অর্থাৎ ২৫ ও ২৬ তারিখ এবং তৃতীয় ও শেষ দফার ভোটপর্ব পরের মাসে অর্থাৎ মে মাসে করার কথা বলা হয়েছে। তবে বিধাননগর ও আসানসোলে পুরসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ১৬ অক্টোবর। তাই সেখানে ভোট হবে পুজোর পর।

পুরসভা নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু করল রাজ্য। নবান্ন সূত্রে খবর এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহেই পুরভোট করাতে চাইছে রাজ্য সরকার। এবিষয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে দিনক্ষণ সংক্রান্ত বিষয়ে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছে নবান্ন। রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, তিন দফায় ভোটপর্ব শেষ করতে চায় রাজ্য। এক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে কয়েকটি জেলায় পুরভোটের দিনক্ষণও স্থির করা হয়েছে। সূত্রের খবর, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ভোট হতে পারে কলকাতা সহ ছ’টি কর্পোরেশন এবং ১০৪টি পৌরসভার৷ সব মিলিয়ে ১১০টি পৌরসভা। হাওড়া-সহ রাজ্যের ১৭টি পুরসভার মেয়াদ একবছর আগে শেষ হয়েছে। বাকি ৯২টি পুরসভার মেয়াদ এপ্রিল অথবা মে মাসে শেষ হচ্ছে। বিধাননগর ও আসানসোল কর্পোরেশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে অক্টোবরে। প্রথম দফায় পুরসভা ভোটের আগে কলকাতা-সহ চারটি কর্পোরেশনের ভোট আগেই করে নিতে চাইছে রাজ্য। প্রস্তাব অনুসারে ১২ এপ্রিল কলকাতা, হাওড়া, শিলিগুড়ি ও আসানসোল পুরনিগমের ভোট। আসদ্বিতীয় দফার ভোট এপ্রিলের শেষে অর্থাৎ ২৫ ও ২৬ তারিখ এবং তৃতীয় ও শেষ দফার ভোটপর্ব পরের মাসে অর্থাৎ মে মাসে করার কথা বলা হয়েছে। তবে বিধাননগর ও আসানসোলে পুরসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ১৬ অক্টোবর। তাই সেখানে ভোট হবে পুজোর পর। রাজ্য তিনদফা চাইলেও  দুদফাতেই ভোটপর্ব করতে চাইছে নির্বাচন কমিশন। তবে এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। তাই শীঘ্রই পুরভোট নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিতে চলেছে রাজ্য সরকার। নির্বাচন কমিশন সবুজ সংকেত দিলে নির্ধারিত দিনেই পুরভোট হবে রাজ্যে।

তবে কয়েকটি পুরসভার মেয়াদ, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা ও রমজানের কথা মাথায় রেখেই পুরভোটের দিনক্ষণ স্থির করতে চায় রাজ্য। 

ভোটদান প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যালটে ভোট করার পক্ষে সওয়াল করলেও, রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ইভিএমে ভোট করাতেই আগ্রহী কমিশন। ইভিএমের সঙ্গে সে ক্ষেত্রে ভিভিপ্যাটও ব্যবহার করা হতে পারে। এবারই প্রথম পুরভোটে ভিভিপ্যাট-সহ ভোট করার কথা চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে। যদিও এনিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলেই কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে।

২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে শক্তিশালী বিরোধী পক্ষকে কোনো সুযোগ দিতে চাইছে না মমতা সরকার। তার আগে এই পুরভোটের ময়দানেই ক্ষমতা যাচাইয়ের পরীক্ষা। সেই লক্ষ্যে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি সমস্ত পুরসভার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের নিয়ে বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারে বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২ মার্চ বৈঠকে বসবেন পুর কাউন্সিলরদের নিয়ে। 

 

ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের পুরনির্বাচনের জন্য পাঁচ জনের একটি কমিটি গড়ে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  এই কমিটিতে রয়েছেন রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *