কলকাতা: পুজোর সময় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল রাখতে তৎপর হল রাজ্য বিদ্যুৎ দফতর৷ কোথায় কি ঘাটতি রয়েছে, কি কি সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে সেবিষয়েই পুর্ণাঙ্গ বৈঠক করেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস৷ পরে তিনি বলেন, ‘‘পুজোর সময় কোথাও কোনও লোডশেডিং হবে না৷ তার আগেই ঘাটতি মেটাতে আমরা যাবতীয় প্রস্তুতি নিচ্ছি৷’’
আজ বিদ্যুৎ ভবনে বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের তত্ত্বাবধানে একটি বৈঠক করা হয়৷ এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিদ্যুৎ দপ্তরের সচিব, ম্যানেজিং ডিরেক্টর সহ দপ্তরের বিভিন্ন আধিকারিকগণ৷ এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সিইএসসি, কোল ইন্ডিয়া, রেলওয়ে, ইসিএল, ডিভিসি, বিসিসিএল, এমসিএলের অধিকারিকগণ৷
বৈঠক শেষ হওয়ার পর বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, সচিব পিবিসেলিম ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর শান্তুনু বসু একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান যে আগাম পূজো প্রস্তুতিতে তৎপর রাজ্য বিদ্যুৎ দপ্তর৷ পুজোর সময় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল রাখার জন্য বিদ্যুৎ দপ্তর এর পক্ষ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সমস্ত মেরামতির কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে৷ বৃষ্টির জন্য কাজ করতে কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে৷ পুজোর সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল রাখার জন্য কলকাতা শহরে সিইএসসির ১৭০টি হাই-টেনশন ও লো-টেনশন মোবাইল ভ্যান থাকবে৷ সারা বাংলা জুড়ে WBSEDCL এর লো-টেনশন ভ্যান থাকবে ১৪৮৫ টি আর হাই-টেনশন ভ্যান থাকবে ৮৩৪ টি৷ মোট ২৩১৯ টি ভ্যান থাকবে৷ এবছর পূজোতে সমস্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র মিলিয়ে বিদ্যুৎ এর চাহিদার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে৷ তৃতীয়াতে ৮৮১০ মেগাওয়াট, চতুর্থীতে ৮৮৩০ মেগাওয়াট, পঞ্চমীতে ৮৩৮০ মেগাওয়াট, ষষ্ঠীতে ৮৯০০ মেগাওয়াট, সপ্তমীতে ৮৪৫০ মেগাওয়াট, অষ্টমীতে ৮০৩০ মেগাওয়াট, নবমীতে ৭৭০০ মেগাওয়াট আর দশমীর দিন ৭৩৫০ মেগাওয়াট৷ পুজোর সময় পঞ্চমী থেকে দশমী পর্যন্ত বিদ্যুৎ ভবন রাজ্যের সমস্ত জেলা ও জোন গুলিতে ২৪ ঘন্টার জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে৷ এই কন্ট্রোল রুমের নম্বর গুলি পুজোর আগেই সংবাদপত্রগুলিতে বিজ্ঞাপন এর মাধ্যমে দিয়ে দেওয়া হবে।
কয়লার ঘাটতি যাতে না হয় তার জন্য বিদ্যুৎ সচিব সচিব পি বি সেলিম জানান, পি ডি সি এল এর ছটা কয়লা উত্তোলন কেন্দ্রের মধ্যে পাঁচটা কয়লা উত্তোলন কেন্দ্র থেকেই কয়লা পাওয়া যাবে৷ তাই কয়লার কোনও ঘাটতি থাকবে না৷ ৬০ শতাংশ নিজস্ব কয়লা উত্তোলন কেন্দ্র থেকেই কয়লা পাওয়া যাবে৷ আর বাকি ৪০ শতাংশ অন্যান্য কয়লা উৎপাদন কেন্দ্র থেকে কয়লা পাওয়া যাবে।