কলকাতা: স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসা করলে বেসরকারী হাসপাতাল গুলিকে এখন থেকে রোগীর ওষুধ কেনার রশিদ স্বাস্থ্য দপ্তরে জমা দিতে হবে বলে রাজ্য সরকার নির্দেশ দিয়েছে। এই নিয়ম অমান্য করলে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ওষুধের দাম বাবদ ৬০ শতাংশের বেশি অর্থ দেবে না বলে জানিয়েছে। পাশাপাশি দামি ওষুধ অথবা রোগ নির্ণয়ের জন্য পরীক্ষার খরচের প্রমাণ দিতে পারচেজ ইনভয়েসের প্রতিলিপিও জমা দিতে হবে। উল্লেখ্য, বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার কাছ থেকে সর্বাধিক খুচরো মূল্যের চেয়ে অনেক কম দামে ওষুধ কিনলেও স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে চিকিৎসা করে তারা সরকারের কাছে সর্বাধিক খুচরা মূল্য দাবি করে টাকা নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
রাজ্যের সকল নাগরিকের জন্য স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প চালু করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কিন্তু কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতাল ও ছোট নার্সিংহোম তা মানতে নারাজ। সে খবর আগে কানে গেছিল মুখ্যমন্ত্রীর। এক্ষেত্রে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, অনেক বড় বড় হাসপাতাল কখনও কখনও বলে, স্বাস্থ্যসাথী করবে না। কিন্তু তিনি স্পষ্ট বলেছিলেন যে, এই প্রকল্প করতেই হবে। যদি কেউ চিকিৎসা না দেয়, সরকারের হাতে কিন্তু লাইসেন্স বাতিল করার ক্ষমতা আছে। যদিও তারপরেও খুব একটা যে পরিস্থিতি বদলেছে তা নয়। এখন রাজ্যের একাধিক বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যসাথী না ব্যবহার করার অভিযোগ আসে।
এদিকে আবার সরকারি হাসপাতালে ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানের বেশ কিছু ওষুধের গুণগত মান ঠিক নয়, এমনই অভিযোগ উঠেছে! এই অভিযোগের ভিত্তিতেই কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল একাধিক ওষুধ সংস্থাকে শো-কজ করেছে বলে জানা গিয়েছে। অভিযোগ এসেছে যে, রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলার হাসপাতাল স্টোরের ওষুধ একেবারেই ভাল মানের নয়।