কলকাতা: অস্বাভাবিক সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলায় এবার আদালতের দ্বারস্থ রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং অরূপ রায়। অস্বাভাবিক সম্পত্তি বৃদ্ধি সংক্রান্ত মামলায় ইডিকে পক্ষ করার নির্দেশকে পুনর্বিবেচনার আর্জি জানান হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিন মন্ত্রী। গত ৮ আগস্ট এই মামলায় ইডিকে যুক্ত করার নির্দেশ দেয় আদালত। সেই নির্দেশের প্রেক্ষিতেই আদালতের দ্বারস্থ হলেন এই তিনজন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন- গরুপাচার-কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলকে ফের তলব, বুধবার হাজিরার নির্দেশ CBI-এর
রাজ্যে নেতা-মন্ত্রীদের সম্পত্তি কী ভাবে বাড়ছে? তা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, ইডি খতিয়ে দেখুক। এই আর্জি নিয়ে মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। গত সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ ইডিকে এই মামলায় পক্ষভুক্ত করে। এই নির্দেশের পরেই রাজ্যের এই তিন মন্ত্রী আদালতের দ্বারস্থ হলেন। তাঁরা চান, আদালত এই সিদ্ধান্তের পুনর্বিবেচনা করুক। কিন্তু আদতে কি তা হবে? সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। উল্লেখ্য, সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে যে মামলা করা হয়েছে তাতে নাম আছে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, মলয় ঘটক, স্বর্ণকমল সাহা, গৌতম দেব, ইকবাল আহমেদ, ফিরহাদ হাকিম, ব্রাত্য বসু, জাভেদ খান, অরূপ রায়, সব্যসাচী দত্ত, শিউলি সাহা, আবদুর রেজ্জাক মোল্লা, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
এর আগেই তৃণমূল কংগ্রেস বিরোধীদের নিশানা করে এই মামলার প্রেক্ষিতে দাবি করেছে, একপেশে বদনাম করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা জনস্বার্থ মামলা নয়, রাজনৈতিক স্বার্থে মামলা। বুধবার বিধানসভা থেকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ফিরহাদ হামিক, ব্রাত্য বসু, অরূপ রায়রা। তাঁদের বক্তব্য, পার্থ চট্টোপাধ্যায় যা করেছেন তা নিয়ে লজ্জিত তাঁরা, কিন্তু একটা ঘটনা দিয়ে এটা বিচার হয় না যে তৃণমূলের সবাই চোর। এটা জনস্বার্থ মামলা নয়। রাজনৈতিক স্বার্থে করা মামলা। এই প্রেক্ষিতেই বিজেপির ‘বি-টিম’ বলে কংগ্রেস-সিপিএমকে আক্রমণ করেছে তৃণমূল।