কলকাতা: বিশেষজ্ঞদের অনুমান খুব তাড়াতাড়ি দেশে আছড়ে পড়তে পারে করোনা ভাইরাস তৃতীয় ঢেউ। ওমিক্রন দায়ি হবে এর জন্য। ইতিমধ্যেই দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। ওমিক্রন পরিসংখ্যানও খুব একটা সুখকর নয়। সেই প্রেক্ষিতে বাংলায় যদি করোনা তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ে তাহলে তার জন্য কেমন প্রস্তুতি প্রয়োজন, তা নিয়ে কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। আগামী দিনের পরিস্থিতি কী ভাবে সামাল দেওয়া যাবে তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা সংক্রমিত ১ হাজার ০৮৯ জন। একই সময় মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। আক্রান্তদের মধ্যে ৫৪০ জন কলকাতার। তিলোত্তমাকে নিয়ে চিন্তা প্রকাশ করেছে খোদ কেন্দ্রীয় সরকার। চিঠি দেওয়া হয়েছে নবান্নে। কিন্তু রাজ্যের ভাইরাস তথ্যও আরও বেশি জটিল। কিছুদিন আগে পর্যন্ত বঙ্গের কোভিড গ্রাফ নেমে গিয়েছিল ৫০০-এর নিচে। কিন্তু আবার তা চলে এসেছে ১ হাজার ৩০০-র দোরগোড়ায়। রাজ্যে আপাতত ওমিক্রন আক্রান্ত ১১ জন। তবে সেই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে আশঙ্কা। কারণ এখনও প্রায় হাজার জনের নমুনা পরীক্ষাকেন্দ্রে রয়েছে। সেখান থেকে অনেকেই পজিটিভ হতে পারে। বিদেশ যাত্রা করেননি এমন অনেকেই ওমিক্রন আক্রান্ত হয়েছেন, তাই কোনও ভাবনাই বাদ দেওয়া যাচ্ছে না। তাই রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর তৃতীয় ঢেউ এলে কী ভাবে মোকাবিলা করা হবে তা নিয়ে ইতিমধ্যে বৈঠক করেছে বলে জানা গিয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতর পর্যাপ্ত পরিমাণ ওষুধ এবং অক্সিজেন মজুত রাখার নির্দেশ দিয়েছে হাসপাতালগুলিকে। এছাড়া হাসপাতালগুলিকে অতিরিক্ত সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আগামী কয়েক দিনে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কতটা বাড়তে পারে তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। উল্লেখ্য, এখন পশ্চিমবঙ্গ তথা শহর কলকাতাকে নিয়ে কেন্দ্র আলাদাভাবে চিন্তিত। কারণ বিগত কয়েক দিনে শহরে হঠাৎ বেড়ে গিয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। এই প্রেক্ষিতে পরিস্থিতি মোকাবিলায় কী কী পদক্ষেপ করা দরকার, সেই পরামর্শ দিয়েই নবান্নকে চিঠি দেওয়া হয়েছে মোদী সরকারের তরফে। করোনা পরীক্ষা বাড়ানো থেকে শুরু করে টিকাকরণ বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও কন্টেনমেন্ট জোনের ভাবনা নেওয়ার কথাও বলেছে কেন্দ্র। এদিকে, নবান্ন ইতিমধ্যেই একাধিক পদক্ষেপের কথা ভেবেছে, কিন্তু নাইট কার্ফু করা হবে কিনা, তা নিয়ে দোটানায় রয়েছে।