টিকাকরণ ইস্যুতে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য! আগামী সপ্তাহে শুনানি

টিকাকরণ ইস্যুতে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য! আগামী সপ্তাহে শুনানি

429423c2c547075b784536e1a31aa53a

কলকাতা: সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। একক ভ্যাকসিন নীতি ও বিনা মূল্যে করোনা টিকাকরণের দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হল। জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকার করোনা টিকার বিনামূল্যে বণ্টন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। দেশজুড়ে টিকাকরণের জন্য অভিন্ন নীতি নেওয়ারও দাবি জানানো হয়েছে।সূত্রের খবর, রাজ্য সরকার নিজের পিটিশনে জানিয়েছে, কেন্দ্রকে অবিলম্বে ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য এবং রাজ্যগুলিতে তা বিনামূল্যে বিতরণ নিশ্চিত করার স্বার্থে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। দামের ক্ষেত্রে যে বৈষম্য দেখতে পাওয়া যাচ্ছে সেই নীতিও পরিবর্তনের নির্দেশ দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। আগামী সোমবার  সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে ভ্যাকসিন সংক্রান্ত মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

 

তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পরেই ভ্যাকসিন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লেখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মূলত বিনামূল্যে টিকাকরণ থেকে শুরু করে হাসপাতালের বেড, ওষুধ এবং অক্সিজেন সংক্রান্ত একাধিক ইস্যু তুলে ধরে এই চিঠি পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগেও করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছিলেন তিনি কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কোনরকম পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে বাংলার কৃষকদের জন্য ১৮ হাজার টাকা করে চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেন মমতা। পশ্চিমবঙ্গের ২২ লক্ষ কৃষককে ১৮ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা জানিয়ে নমোকে চিঠি দেন মমতা। গত দুই মাসে নরেন্দ্র মোদী ভোট প্রচারে বাংলায় এসে প্রতিবারই অভিযোগ করেছেন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার বাংলায় পিএম কিষাণ প্রকল্প চালু হতে দেয়নি। তার ফলে বাংলার চাষিরা দু’বছরে ১২ হাজার টাকা করে অনুদান থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এবারে সেই টাকাই পাঠানোর কথা চিঠিতে উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। 

এদিকে আজ আবার রাজ্যে করোনা সংক্রমনের ঊর্ধ্বগতি ও মেডিকেল অক্সিজেন চাহিদা বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে রাজ্যে উৎপাদিত অক্সিজেন ভিন রাজ্যে পাঠানোয় আপত্তি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি আজ পুনরায় প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন। চিঠিতে তিনি বলেন, একদিনের মধ্যে রাজ্যে মেডিকেল অক্সিজেন চাহিদা ৪৭০ মেট্রিক টন এ এসে দাঁড়িয়েছে। আগামী সপ্তাহে তা আরও বেড়ে সাড়ে ৫৫০ মেট্রিক টনে দাঁড়াতে পারে বলে আশঙ্কা। এমত অবস্থায় এ রাজ্যে উৎপাদিত অক্সিজেন অভ্যন্তরীণ ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে রাখার জন্য মুখ্যমন্ত্রী অনুরোধ জানান। পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অক্সিজেন সিলিন্ডার পৌঁছনোর প্রক্রিয়াকে মসৃণতর করার তিনি আবেদন জানিয়েছেন। পাশাপাশি চাহিদা মত প্রতিদিন সাড়ে ৫০০ মেট্রিক টন অক্সিজেনের সরবরাহ করার দাবিও জানিয়েছেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *