কলকাতা: আরজি কর হাসপাতালের অচলাবস্থা কাটাতে রাজ্য সরকার আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে কড়া মনোভাব নিতে চলেছে। গতকাল সাধারণ সভায় উস্কানি মূলক মন্তব্যের জেরে চিকিৎসক সংগঠনের দুই নেতা পুণ্যব্রত গুণ এবং কৌশিক চাকির বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। খুব দ্রুত কাজে যোগ না দিলে ইন্টার্ন ও জুনিয়র চিকিৎসকদের বিরুদ্ধেও কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করে তাদের বিরুদ্ধেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে। এই দিকে স্বাস্থ্যসচিব নারায়ন স্বরূপ নিগম আজ বর্তমান উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে সেখানকার অধ্যক্ষ ডক্টর সন্দীপ ঘোষ এবং ডেপুটি সুপার ডক্টর সুপ্রিয়া চৌধুরীকে স্বাস্থ্য ভবনে ডেকে পাঠান বলে জানা গিয়েছে।
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তারদের টানা কর্মবিরতির জেরে চিকিৎসা পরিষেবা সম্পূর্ণ ব্যাহত। আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি, অধ্যক্ষ পদত্যাগ না করলে তাঁরা অনশন চালিয়ে যাবে। এর জেরে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে কারণ চিকিৎসা প্রায় ব্যাহত। অনেক রোগীদের ফিরে যেতে হচ্ছে। এমতাবস্থায় কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে রাজ্য সরকার। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য ‘মেন্টর গ্রুপ’ তৈরি করা হয়। আন্দোলনকারীদের কাজে ফেরানোর চেষ্টা করেন সেই গ্রুপের সদস্যরা। কিন্তু তারা নিজেদের দাবিতে অনড়। অধ্যক্ষ ইস্তফা না দিলে তারা কাজে ফিরবেন না বলে সাফ জানিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাই এখন যেভাবে হোক হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা স্বাভাবিক করতে উঠে পড়ে লেগেছে প্রশাসন।
গতকাল এই ইস্যুতে বৈঠক হয়েছিল, কিন্তু তাতেও সমাধান মেলেনি। তাই ইতিমধ্যেই কাজে অনুপস্থিত পিজিটি-ইন্টার্নদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে আরজি কর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যারা অনুপস্থিত তাঁদের নামের পাশে ‘অ্যাবসেন্ট’ লিখে এমএসভিপিকে নোটিশ করাতে বলা হয়েছে। অর্থাৎ, শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে তারা। উল্লেখ্য, ৯ অক্টোবর থেকে কর্মবিরতিতে আর জি কর হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তাররা।