কলকাতা: গত মঙ্গলবার অর্থাৎ ১৩ সেপ্টেম্বর বিজেপি নবান্ন অভিযান করেছিল। কিন্তু তা নিয়ে গোটা রাজ্যজুড়ে তোলপাড় হয়। বিশেষ করে হাওড়া এবং কলকাতায় উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে মারাত্মকভাবে। সেইভাবে এই মিছিল নবান্ন পর্যন্ত পৌঁছতে পারেনি ঠিকই, কিন্তু মাঝ রাস্তায় যেমন সাঁতরাগাছি, লালবাজার এলাকায় যে যে ঘটনা ঘটেছে তার আঁচ এখনও আছে। নবান্ন অভিযান নিয়ে মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলাতেই সোমবার রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিবের রিপোর্ট জমা পড়ল আদালতে। রিপোর্টের পাশাপাশি দুটি পেনড্রাইভও দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন- বেলা বাড়তেই কালো মেঘে ঢাকবে আকাশ, সোমে ফের কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস
বিজেপি এই নবান্ন অভিযানের দিন শহরের রাস্তায় কার্যত তাণ্ডব হয়। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর থেকে শুরু করে গাড়িতে আগুন লাগানো, পুলিশকে মারধর, ইট ছোড়া সবই হয়েছে। ঘটনায় সব অভিযোগের আঙুল গিয়েছে বিজেপির দিকেই। তবে বিজেপিও পাল্টা পুলিশের বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ তুলেছে। সব মিলিয়ে কলকাতা হাইকোর্টেও এই সংক্রান্ত মামলায় উত্তাপ ছড়ায়। সোমবার আদালতে রাজ্য সরকারের তরফে সওয়াল করে অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, আগে আদালত পেনড্রাইভ দেখুক। তা দেখলেই সব জানা যাবে। বিচারপতি বুঝতে পারবেন কী ঘটেছিল। আগের শুনানিতেই তিনি অবশ্য দাবি করেছিলেন যে, ঘটনার দিন পুলিশের তরফ থেকে জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। তারপরেও বিজেপি অভিযান করেছে, যা বেআইনি।
রাজ্যের তরফে এও জানান হয়, বিজেপির অভিযানের দিন সরকারি, বেসরকারি অনেক সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে। প্রায় ৫০ জন পুলিশকর্মী গুরুতর আহত হয়েছে। এদিকে, পুলিশকে মারধর এবং গাড়িতে আগুন লাগানোর ভিডিও ভাইরাল। এই পরিস্থিতিতে আদালত এই মামলায় দেওয়া অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ বহাল রেখেছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৭ সেপ্টেম্বর।