কলকাতা: দীর্ঘ প্রায় সাত মাস পর বুধবার থেকে ফের রাজ্যে শুরু হচ্ছে লোকাল ট্রেন পরিষেবা। যাতায়াতের পথ আগের মত সুবিধাজনক হওয়ার স্বস্তি যেমন রয়েছে, তেমনই করোনাভাইরাস সংক্রমণের বৃদ্ধির আশঙ্কাও তাড়া করে বেড়াচ্ছে রাজ্যবাসীকে। এক্ষেত্রে লোকাল ট্রেন শুরু করার পরেও ঝুঁকি নিতে নারাজ রাজ্য সরকার। তাই প্রকাশ করা হল জরুরি গাইড লাইন। এদিন ১৬ দফার গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
জরুরি গাইডলাইনে বলা হয়েছে, প্রত্যেক যাত্রীদের জন্য মাস্ক বা ফেস শিল্ড বাধ্যতামূলক, একইসঙ্গে স্যানেটাইজ করতে হবে ট্রেনের প্রতিটি কামরা। করোনা সংক্রমণ যেন কোনোভাবেই বৃদ্ধি না হয় কার জন্য স্টেশনগুলির শৌচালয় এবং প্রতিটি প্ল্যাটফর্ম পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে কর্মীদের। একইসঙ্গে প্রত্যেক স্টেশনের প্লাটফর্মের থাকবে আইসোলেশন রুম৷ সাধারণত, বড় বড় স্টেশনগুলিতে জিআরপি বা রেল পুলিশ উপস্থিত থাকেন। ইতিমধ্যে যাত্রী নিয়ন্ত্রণের জন্য একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। স্টেশনের সমস্ত প্লাটফর্মে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য গোল দাগ আঁকা হয়েছে। একই সঙ্গে একাধিক প্রবেশপথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট প্রবেশ পথ দিয়েই যাত্রীরা স্টেশনে ঢুকতে পারবেন। ঢোকার আগে তাদের থার্মাল স্ক্রিনিং করা হবে বলে জানা গিয়েছে৷
যদিও এত আঁটোসাঁটো ব্যবস্থার মধ্যে ও সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। কারণ, হাওড়া, শিয়ালদহ শহর বিভিন্ন জংশন স্টেশনে কড়াকড়ি করলেও অধিকাংশ ছোট ছোট স্টেশনে নজরদারি রাখা সম্পূর্ণরূপে সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে না। সেক্ষেত্রে স্টেশনের ভিড় এবং ট্রেনের ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। সে ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কোনও রকম সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে চেষ্টা করা হচ্ছে, যতটা সম্ভব ভিড় নিয়ন্ত্রণ করার। আগামীকাল থেকে ট্রেন পরিষেবা শুরু হওয়ার আগে বিভিন্ন স্টেশনে যাত্রীদের সামরিক ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে মান্থলি কার্ড ইস্যুর জন্য। বিগত মাসগুলোতে ট্রেন পরিষেবা বন্ধ থাকায় তাদের মান্থলি পরিষেবা দীর্ঘায়িত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। যদিও রাজ্যের তথা শহরের বেশ কিছু স্টেশনে লিঙ্ক ফেলিওর হওয়ায় সেই পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হয়নি। এখন আগামীকাল ট্রেন পরিষেবা শুরু হলে সামরিক চিত্রটা কি দাঁড়ায়, তার ওপর নির্ভর করেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।