কলকাতা: সপ্তাহের শেষে জোড়া ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে, যার ফলে আরও বাড়বে বৃষ্টি। ইতিমধ্যেই এই পূর্বাভাস দিয়ে দিয়েছে হাওয়া অফিস। তাই রাজ্য সরকার আরও বেশি তটস্থ হচ্ছে এই ইস্যুতে। কারণ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা এখনও পর্যন্ত জলমগ্ন এবং নাজেহাল অবস্থা মানুষের। আবার বেশ কয়েকজনের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটেছে। তাই রাজ্য সরকার দুর্যোগ মোকাবিলায় সব জেলা প্রশাসনকে সতর্ক থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
আরও পড়ুন- বাবুল বেরোতেই ঢুকলেন প্রশান্ত! নবান্নে ‘সারপ্রাইজিং’ বৈঠক মমতার
এদিন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী বিভিন্ন জেলার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার, সেচ এবং বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা বিভাগের আধিকারিকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। চলতি সপ্তাহের শেষে ঘূর্ণাবর্তের কারণে আবারও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় সব জেলা প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী মজুদ রাখার পাশাপাশি তিনি উপকূলবর্তী জেলার মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচন থাকায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে প্রস্তুত থাকতেও বলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আসলে হাওয়া অফিস জানিয়ে দিয়েছে, শনিবার পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে। সেটি ওড়িশা উপকূল দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করবে। সেই সঙ্গে সোমবার মধ্য বঙ্গোপসাগরে আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেটি ক্রমে বাংলা ও ওড়িশা উপকূলের দিকে অগ্রসর হবে। মানে, এই দুই পরপর ঘূর্ণাবর্তের কারণে আগামী কয়েক দিন টানা বৃষ্টি হবে কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়।
আরও পড়ুন- জ্বর-শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত শিশুরা, সমস্যা মোকাবিলায় গাইডলাইন প্রকাশ রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের
বিগত কয়েকদিন ধরেই সকাল থেকে মেঘলা আকাশ শহরে, দুপুরে বৃষ্টি হয়েছে। তাই বলা যেতেই পারে আগামী কয়েক দিন রাজ্যবাসীকে জল যন্ত্রণা সহ্য করতেই হবে। এদিকে আবার উত্তর কলকাতার আমহার্স্ট স্ট্রিট, ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি এলাকায় হাঁটু জল। এদিকে গঙ্গার জলস্তর বাড়তে শুরু করায় হাওড়ার একাধিক জায়গাও জলমগ্ন। উত্তর ২৪ পরগনার বেশ কিছু জায়গা জলমগ্ন৷ এদিকে, টাকা বৃষ্টিতে জলের তলায় চলে গিয়েছে কলকাতা, প্রিন্সেপ ঘাটের মতো স্টেশনের রেললাইন৷ ফলে ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে৷