কলকাতা: রাজ্যে রিয়েল এস্টেট ব্যবসাকে উৎসাহ দিতে এবং জমি বাড়ি ফ্ল্যাটের ক্রেতাদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে রাজ্য সরকারি রিয়াল এস্টেট রেগুলেটরি কমিটি তৈরি করেছে। রাজ্যের আবাসন দফতরের জারি করা নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, ২০১৬ সালের রিয়েল এস্টেট রেগুলেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট আইন বা রেরার আওতায় এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় আবাসন শিল্প নিয়ন্ত্রণ আইন রেরা-র (রিয়াল এস্টেট রেগুলেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যাক্ট) আওতায় নতুন বিধি তৈরি করেছে রাজ্য। উল্লেখ্য, নতুন আবাসন আইনে নানা বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ক্রেতার সায় ছাড়া নকশা না-বদলানো নিয়ে কড়াকড়ি, দাম হিসেবের ক্ষেত্রে কার্পেট এরিয়াকে মাপকাঠি ধরা ইত্যাদি।
এদিকে, রাজ্যে শিল্পের অগ্রগতি চাইছে সরকার। রাজ্যে বৃহৎ শিল্প স্থাপনে বিনিয়োগকারীদের উৎসাহ দিতে রাজ্য সরকার শিল্পের জন্য নেওয়া জমিতে প্রাথমিক পরিকাঠামো তৈরি করে দেওয়ার ভার নিজের হাতে নিচ্ছে। রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগম সূত্রে জানা গিয়েছে বৃহৎ শিল্পে বিনিয়োগের জন্য জমি পছন্দ করলেও অনেক সময় জল ,রাস্তা, বিদ্যুতের মতো প্রাথমিক পরিকাঠামো তৈরি করতে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। এই সমস্যা মেটাতে এবার শিল্পের জন্য নির্ধারিত জমিতে প্রাথমিক পরিকাঠামো সরকারের তরফে তৈরি করে দেওয়া হবে। তবে তার জন্য অতিরিক্ত ব্যয় সংশ্লিষ্ট সংস্থাকেই মেটাতে হবে।
আরও পড়ুন- খুদের বুদ্ধিতে দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচল স্টাফ স্পেশাল ক্যানিং লোকাল
ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারের জমি ব্যাংকে থাকা পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড়ে ৯০০ একর জমিতে এই ধরনের প্রাথমিক শিল্প পরিকাঠামো তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। হলদিয়ায় ৩৫০ একর জমিতে, পুরুলিয়া জঙ্গল সুন্দরী কর্ম নগরীতে ২৪৮৩ একরে এবং নদীয়ার কল্যাণীতে ১০০ একর জমিতে প্রাথমিক পরিকাঠামো তৈরি করার কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। পাশাপাশি রাজ্য ক্ষুদ্র শিল্প উন্নয়ন নিগম শিল্প গড়ার জন্য নেওয়া অব্যবহৃত জমি ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছে। যেসব সংস্থা শিল্প তৈরীর জন্য জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ফেলে রেখেছেন তাদের কাছে এর কারণ জানতে চেয়ে নিগমের তরফে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ওই সমস্ত সংস্থার কাছ থেকে পাওয়া জবাব সন্তোষজনক হলে শিল্প তৈরির জন্য তাদের নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হবে। না হলে চুক্তি বাতিল করে জমি আবার ফিরিয়ে নিয়ে তা অন্য সংস্থাকে বরাদ্দ করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।