কলকাতা: চলতি বছরে লাগাতার বর্ষণ ও জল জমার সমস্যার কারণে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার মত মশা বাহিত রোগের সংক্রমণ বৃদ্ধির নিরিখে স্বাস্থ্য দফতর বেশ কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। মশা বাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জেলা গুলিকে বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোন কোন জেলা থেকে ডেঙ্গু রোগীর খোঁজ মিলছে তা নিয়মিত খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- রেহাই মিলবে না এখনই! জোড়া ঘূর্ণাবর্তে আরও বৃষ্টির আশঙ্কা
জানা গিয়েছে, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের আগাম পরিকল্পনা তৈরি রাখা হবে। এছাড়াও জমা জলে মশার বংশ বৃদ্ধি আটকাতে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোভিড উপসর্গের সঙ্গে ডেঙ্গুর উপসর্গের ফারাক করে যথাযথ চিকিৎসা করতে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া জ্বর নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে লাগাতার সচেতনতা প্রচারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যের তরফে।
আরও পড়ুন- বিধানসভায় হাজিরা দেবেন না কোনও অফিসার, নারদ মামলায় স্পিকারকে পাল্টা চিঠি ED-র
এদিকে এক টানা বৃষ্টিতে শহরের জমা জল দ্রুত বের করে দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকার বিভিন্ন নিকাশি খালগুলি সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম কলকাতা এবং শহরতলীর সাতাশটি এই ধরনের খালকে দ্রুত সংস্কার করার কথা উল্লেখ করে সেচ দফতরে চিঠি দিয়েছেন বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, রাজ্য সরকার দুর্যোগ মোকাবিলায় দক্ষিণবঙ্গের সব জেলা প্রশাসনকে সতর্ক থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা রাখার নির্দেশ দিয়েছে। মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী আজ বিভিন্ন জেলার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার, সেচ এবং বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা বিভাগের আধিকারিকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। চলতি সপ্তাহের শেষে ঘূর্ণাবর্তের কারণে আবারও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় সব জেলা প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী মজুদ রাখার পাশাপাশি তিনি উপকূলবর্তী জেলার মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।