কলকাতা: পঞ্চম অর্থ কমিশন গঠন করে ফের দায়িত্ব সঁপা হল অভিরূপ সরকারকে৷ আবারও তাঁকে কমিশনের চেয়ারম্যান করা হয়েছে৷ সম্প্রতি একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এ কথা জানিয়েছেন অর্থ দফতরের প্রধান সচিব মনোজ পন্থ৷ অভিরূপ সরকার ছাড়াও এই কমিটিতে রয়েছেন বর্ণালী বিশ্বাস, স্বপন কুমার পাল ও আশিষ কুমার চক্রবর্তী৷ তাঁর তিনজনই রাজ্য সরকারের অবসরপ্রাপ্ত আমলা৷ এছাড়াও সদস্য হিসাবে অর্থ কমিশনে আছেন রুমা মুখোপাধ্যায়। নতুন অর্থ কমিশন গঠন করা হলেও কমপদ্ধতিতে কোও বদল আনা হবে না বলেই জানানো হয়েছে৷ চতুর্থ অর্থ কমিশনের কাজ ও লক্ষ্য যা ছিল, সেই একই পথেই এগোবে পঞ্চম অর্থ কমিশনের কাজ।
আরও পড়ুন- সাইকেল নিয়ে বামেদের একহাত ফিরহাদের, শোনালেন বর্তমান উন্নয়নের কথা
২০১৩ সালে চতুর্থ অর্থ কমিশন গঠন করেছিল রাজ্য সরকার৷ সেই কমিশনেরও চেয়ারম্যান ছিলেন অভিরূপ সরকার৷ ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে রিপোর্ট পেশ করে চতুর্থ অর্থ কমিশন৷ অর্থ দফতরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ছয় মাসের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করবে পঞ্চম কমিশন৷ কমিশনের কার্যকাল শেষ হবে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে৷ ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে পরবর্তী পাঁচ বছরের পুরসভা ও পঞ্চায়েতের পরিস্থিতির ওপর রিপোর্ট তৈরি করবে অভিরূপ সরকারের নেতৃত্বাধীন পঞ্চম অর্থ কমিশন।
মূলত রাজ্যের পঞ্চায়েত ও পুরসভাগুলির আর্থিক অবস্থা পর্যালোচনা করা থাকে অর্থ কমিশন। বিভিন্ন খাতে রাজ্য সরকারের যে আয় হয়, পঞ্চায়েত ও পুরসভাগুলি সেই আয়ের অংশ কী হারে পাবে, সে বিষয়ে সুপারিশ করাও কমিশনের দায়িত্ব৷ পাশাপাশি পুরসভা ও পঞ্চায়েতগুলি কীভাবে তাদের আয় বৃদ্ধি করবে, সে ব্যাপারেও সুপারিশ করে থাকে অর্থ কমিশন। গতকাল নিউটাউনের কনভেনশন সেন্টারে রাজ্যের সব পুরসভাগুলিকে নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম৷ সেখানে ডেপুটি মেয়র, চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের আয় বাড়ানোর সুপারিশ করেছেন কলকাতাপ মেয়র। সেই নিরিখে পঞ্চম অর্থ কমিশনের কাজ নিশ্চিতভাবেই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে৷
রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কর্মচারী ফেডারেশন৷ সংগঠনের অন্যতম সদস্য মনোজ চক্রবর্তীর কথায়, ‘‘পুরসভা ও পঞ্চায়েতগুলিতে দুর্নীতি রুখতে বড় ভূমিকা গ্রহণ করতে পারে অর্থ কমিশন। পঞ্চম কমিশন গঠন করে রাজ্য বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছে।’’
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>