কলকাতা: রাজ্যে করোনা সংক্রমণের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার হাসপাতালের চিকিৎসা পরিকাঠামো আবারও ঢেলে সাজানোর নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আজ রাজ্য স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের পৌরহিত্য এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় যেমন চিকিৎসা পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছিল অনুরূপ ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভাইরাস সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের কারণে বেসরকারি হাসপাতালে এর আগে যে ভাবে বেডের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছিল, সে ভাবে বেডের সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে করোনা চিকিৎসার প্রয়োজনীয় অত্যাবশ্যকীয় ওষুধগুলি দ্রুত সংগ্রহ করে সে ব্যাপারেও প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি নির্দেশ, যে হাসপাতালগুলিতে বায়ো ল্যাব রেয়েছে, সেগুলিকে প্রতিনয়ত স্বাস্থ্য ভবনের সঙ্গে নিয়মিত তথ্য আদান-প্রদান করতে হবে। জেলার সংক্রমণের দৈনন্দিন হিসাবও দিতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে, ওমিক্রন সংক্রমণে লাগাম টানতে দ্রুত নমুনা পরীক্ষার উপরও জোর দেওয়া হয়েছে। আক্রান্তদের থেকে সংগ্রহ করা সোয়াব যেন আরও কম দিনের ব্যবধানে কল্যাণীর পরীক্ষাগারে পাঠানো যায় তা দেখতে স্বাস্থ্যসচিব নির্দেশ দেন। বর্তমানে সপ্তাহে দু’বার করে করোনা আক্রান্তদের সোয়াব কল্যাণীর পরীক্ষাগারে জিনোম সিকোয়েন্স পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।
ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার ওমিক্রন সংক্রমণ মোকাবিলায় বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের জন্য আরো কড়া বিধিনিষেধ জারি করেছে। প্রত্যেক যাত্রীকে আবশ্যিকভাবে ২২ দিন হোম আইসোলেশনে থাকতে হবে বলে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে। কোনও যাত্রীর আরটিপিসিআর রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও প্রথম দফায় তাকে সাতদিন নিভৃতবাসে থাকতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আবার সাত দিনের মাথায় নেগেটিভ থাকা যাত্রীদের আবার আরটিপিসিআর পরীক্ষা করা হবে। তারপরেও রিপোর্ট নেগেটিভ এলে যাত্রীদের আরো ১৪ দিনের জন্য নিভৃতবাসে থাকার কথা বলা হয়েছে।