কলকাতা: দ্বিতীয় ডোজের ক্ষেত্রে দেরি করা যাবে না, যদি কেউ নির্দেশিকা অমান্য করে তাহলে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে! এবার এমন হুঁশিয়ারি দিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। এই প্রেক্ষিতে একটি নির্দেশিকা জারি করেছে তারা। তাতে আরও জানান হয়েছে, ভ্যাকসিন সেন্টারে থাকতে হবে নোডাল অফিসারকে। তাঁর তত্ত্বাবধানে যাতে সুশৃঙ্খলভাবে ভ্যাকসিনেশন হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ভ্যাকসিন দেওয়ার আগে মাপতে হবে রক্তচাপ। টিকা প্রাপককে ভ্যাকসিন দেওয়ার পর ৩০ মিনিট ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পে বসিয়ে রাখতে হবে। একাধিক ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পে শারীরিক দূরত্ববিধি শিকেয় ওঠার অভিযোগও উঠেছে। করোনা কালে সংক্রমণ এড়াতে সে দিকেও নজর দিতে হবে বলে নির্দেশিকায় উল্লেখ রয়েছে।
করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন পেতে ইতিমধ্যেই কালঘাম ছুটেছে রাজ্যের সাধারণ মানুষের। একাধিক জেলা থেকে অভিযোগ আসছিল যে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে রাজ্য সরকারের তরফে কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে আঙ্গুল তোলা হচ্ছিল যে তাড়া পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন রাজ্যে পাঠায়নি। সম্প্রতি ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ বন্ধ রাখা হয়েছিল সরকারের তরফে। এতে সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়েছিলেন তারা যারা দ্বিতীয় ডোজ নেবেন। তবে এখন রাজ্যের এই নির্দেশিকায় কিছুটা হলেও জটিলতা কাটবে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত কিছুদিন আগেই রাজ্যের প্রায় দেড় লক্ষ কোভ্যাক্সিন ভ্যাকসিন এসেছে।
এর আগে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন যে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী দাবি করে বলছেন যে বাংলাকে ৭৫ লক্ষ টিকা দেওয়া হয়েছে কিন্তু আদতে সরকার পেয়েছে ২৫ লক্ষ টিকা। ঠিক মতো যাতে রাজ্যকে টিকা দেওয়া যায় সেই প্রেক্ষিতেই চিঠি লেখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, মাসে কমপক্ষে ২ কোটি করে টিকা দিলে অন্তত ৬ মাস সময় লাগবে সকলকে টিকা দিতে। এরই মধ্যে আবার তৃতীয় ঢেউ আসার সম্ভাবনা প্রবল। তাই দ্রুত যাতে টিকা দেওয়া হয় বাংলাকে তার জন্য দাবি তুলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে দাবি করেছেন, বাংলা ১৪ কোটি টিকা দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।