কলকাতা: বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এবং কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে ইতিমধ্যেই আক্রমণ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জমি নিয়ে যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে তাতে নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনের পাশে থেকে তাঁকে পূর্ণ সমর্থন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার বিশ্বভারতীর সঙ্গে আরও এক বিষয়ে সংঘাত লেগে গেল রাজ্য সরকারের। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ থেকে রাস্তা ফেরত নিয়ে নিল রাজ্য সরকার! সবমিলিয়ে ফের একবার অসন্তোষের আবহ বাংলায়।
এদিন বোলপুরের প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি চিঠির প্রসঙ্গ তোলেন। সেই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বিশ্বভারতীতে যেখানে সেখানে পাঁচিল নির্মাণ এবং পথ অবরোধের কারণে স্থানীয় মানুষদের দুর্দশা হচ্ছে। কাজ মন্দির থেকে কালি শহর পর্যন্ত রাস্তার অধিকার p.w.d. বিশ্বভারতীকে দিয়েছিল। সেই কারণে সেই রাস্তা প্রায় সাধারণ মানুষের জন্য নিষিদ্ধ হয়ে গিয়েছিল। এবার সেই রাস্তায় রাজ্য সরকার নিজের হস্তক্ষেপে নিয়ে নিল। এই প্রসঙ্গে মমতা জানিয়ে দেন, রাস্তা হস্তান্তরের জন্য যে ফাইল তাতে তিনি আজকেই সই করে এসেছেন। তাই ভবিষ্যতে এ ব্যাপারে আর কোন সমস্যা হবে না। এক্ষেত্রে মূলত বিশ্বভারতীর আবাসিকদের অভিযোগ হাতিয়ার করেছেন মমতা। যদিও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কি মন্তব্য করে তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
এদিনের প্রশাসনিক বৈঠকের ফের একবার বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে এক হাত নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বহিরাগতদের দখলে চলে গিয়েছে বিশ্বভারতী। বারবার বাংলার গর্ব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, অমর্ত্য সেনদের আক্রমণ করা হচ্ছে, অপমান করা হচ্ছে। বাংলাকে এইভাবে অপমান করলে তিনি চুপ থাকবেন না একথা আবারও এদিন স্পষ্ট করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য, এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিঠির উত্তর দিলেন নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেন। বললেন, তাঁর দৃঢ়তা এবং উষ্ণতা তাঁকে ছুঁয়ে গেছে। তিনি ভরসা পেয়েছেন।চিঠিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন লেখেন, “আপনার সমর্থনের চিঠি পেয়ে আমি অভিভূত। আমি শুধুমাত্র অভিভূত হইনি, আশ্বস্ত হতে পেরেছি। আপনার দৃঢ়তা এবং যা হচ্ছে তা বোঝার ক্ষমতা আমাকে শক্তি দেয়। আপনার ব্যস্ত জীবনের মধ্যেও আক্রান্ত মানুষের জন্য আপনি সময় বের করেছেন”। এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।