কলকাতা: করোনা সংক্রমণ রুখতে এবার বাংলার বেশ কয়েকটি এলাকায় হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করেছে নবান্ন৷ সেই সমস্ত হটস্পট এলাকায় সম্পূর্ণ লকডাউন কার্যকর করতে চলেছে রাজ্য সরকার৷ শুক্রবার এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়ে ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা৷ আজ সকাল থেকে সেই প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন৷
শনিবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যের মুখ্যসচিব জানিয়েছিলেন, রাজ্যের ৯ থেকে ১০টি এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে৷ ওই সমস্ত এলাকায় করোনা সংক্রমণ ঘটেছে৷ সেই সমস্ত এলাকার চিহ্নিত করে পুরোপুরি লকডাউনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি৷মুখ্যসচিবের ঘোষণার পর আজ সকাল থেকেই বাংলার বেশকিছু এলাকায় পুরোপুরি লকডাউনের প্রস্তুতি শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন৷
সূত্রের খবর, কলকাতার কিছু অংশ, সল্টলেকের কিছুটা অংশ, দমদমের কিছু অংশ, হাওড়ার একটি বিস্তীর্ণ অঞ্চল, নদীয়ার একটি অংশ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা কিছুটা অংশ, পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ার কিছু অংশ, এগরার কিছু অংশ, উত্তরবঙ্গের কালিংপং ও আলিপুরদুয়ারের কিছু অংশে ১০০ শতাংশ লকডাউন কার্যকর করার পদক্ষেপ নিচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন৷ গতকাল নবান্ন থেকে মুখ্যসচিব জানিয়েছিলেন, করোনা সংক্রমণ যাতে না ছড়িয়ে না পড়ে তা নিশ্চিত করতেই চিহ্নিত এলাকাগুলিতে ঢোকা বা বেরনোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে৷ বন্ধ থাকবে বাজার দোকান৷ ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয় থাকবে চিহ্নিত এলাকায়৷ থাকবে বিধিনিষেধ৷ স্থানীয় প্রশাসন প্রয়োজনে বাসিন্দাদের সহযোগিতা করবেন৷ এলাকাগুলিতে প্রশাসন প্রয়োজনে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে খাদ্যসামগ্রী বিলি করবেন৷ প্রয়োজনে দেওয়া হবে ওষুধ৷
এমনিতেই বেশ খানিকটা বেড়ে গিয়েছে করোনা৷ সংক্রমণ ইতিমধ্যেই কয়েকটি পরিবারকে গিলে ফেলেছে৷ ১১টি পরিবারে ৬০ জনের বেশি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন৷ একজনের থেকে করোনা দ্রুত অন্য জনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে৷ সেই সমস্ত বিষয়গুলি খতিয়ে দেখে বেশ কয়েকটি এলাকার চিহ্নিত করা হয়েছে৷ সূত্রের খবর, চিহ্নিত হটস্পট এলাকাগুলিতে ১০০% লকডাউন কার্যকর করতে তৈরি করা হচ্ছে মাস্টারপ্ল্যান৷ তবে কোন কোন এলাকায় ১০০% লকডাউন কার্যকর করা হবে, সে বিষয়ে কোনও তথ্য সরকারিভাবে প্রকাশিত হয়নি৷