কলকাতা: সরকারি আবাসন ও সরকারি সম্পত্তি দখলদারি সংক্রান্ত মামলায় রাজ্য সরকারকে ২৫ হাজার টাকা জরিমান করল কলকাতা হাইকোর্ট৷ অভিযোগ, অবসর নেওয়ার পরেও বেশ কিছু পরিবার সরকারি আবাসন দখল করে রেখেছে। কিন্তু অবসর নেওয়ার পরেও কতগুলি পরিবার সরকারি আবাসন দখল করে রয়ছে, সেই বিষয়ে চূড়ান্ত তালিকা আদালতে পেশ করতে পারেনি রাজ্য সরকার৷ সেই কারণেই আর্থিক জরিমানা করা হয়৷ জরিমানা করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী ২৯ শে জুন মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে৷
আরও পড়ুন- তেলের দাম নিয়ে দ্বিচারিতা করছে তৃণমূল সরকার: বিস্ফোরক পুরী
প্রসঙ্গত, চন্দ্রাবতী দেবী নামে জনৈক পেনশন প্রাপক কম পেনশন কম পাওয়ার জন্য কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। তাঁর স্বামী মফিল তেওয়ারি ১৯৯৩ সালে পুলিশে চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন৷ রাজ্য সরকারের দাবি তিনি এখনও সরকারি আবাসন দখল করে রয়েছেন৷ তিনি আবাসন না ছাড়ায় তাঁকে কম পেনশন দেওয়া হচ্ছে।
এর পরেই কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, সরকারি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পরেও যাঁরা এখনও পর্যন্ত সরকারি আবাসন দখল করে রয়েছেন তাঁদের তালিকা জনা দিতে৷ পাশাপাশি কেন তাঁরা আবাসন ছাড়েননি, তাঁদের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, সে বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট হলফনামা আকারে আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়৷
ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের আদেশের পর গত ১১ সেপ্টেম্বর পুলিশ চন্দ্রাবতী দেবীকে সরকারি আবাসন থেকে উচ্ছেদ করে৷ আইনজীবীর দাবি অলকানন্দা চন্দ্রাবতীর পক্ষের আইনজীবী অলক দাস আদালতে জানান রাজ্য সরকার ১৯৮৪ সালের ওয়েস্ট বেঙ্গল গভর্মেন্ট অকুপেন্সি আইন অনুযায়ী যে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে তা সঠিক নয়৷ সম্পূর্ণ বেআইনি৷ বিনা নোটিশে তাঁকে উচ্ছেদ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ আইনজীবীর।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এদিন জানতে চান শুধুমাত্র একদনের ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে৷ অন্যান্য ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে? আদালতের নির্দেশের পর ৬ মাস অতিক্রান্ত হলেও রিপোর্ট জমা না দেওয়ার রাজ্য সরকারকে এদিন ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করে হাইকোর্ট৷ ২৯ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে৷