কলকাতা: আমফান দুর্নীতিতে ক্যাগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এবার সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ফের একবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। এই পদক্ষেপ নিয়ে ইতিমধ্যেই সমালোচনা শুরু করে দিয়েছে বিরোধীরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে আক্রমণ করেছে বাম নেতারা। এদিকে রাজ্য সরকারের তরফে করা মামলা গ্রহণ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। চলতি সপ্তাহে শুনানি হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
গত বছরের ডিসেম্বর মাসে এই মামলায় ক্যাগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে সেই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়ে কয়েকদিনের মধ্যেই আদালতের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। যদিও সেই আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয় আদালতের তরফে। তবে ফের একবার একই আবেদন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। এবার সেই আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। যদিও রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপ নিয়ে প্রবল সমালোচনা শুরু করেছে বাম সহ বিরোধীরা। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী মন্তব্য করেছেন, তদন্ত প্রক্রিয়াকে থামানোর চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার। এই মামলার রিপোর্ট প্রকাশ্যে চলে এলে বিরাট সমস্যায় পড়তে পারে শাসকদল, তাই নির্বাচনের আগে তেমনটা একেবারেই চাইছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর মন্ত্রীরা। এমন মন্তব্য করেছেন সুজন চক্রবর্তী। এমনকি তিনি আরো দাবি করেন, বেশি দিন বাকি নেই, তৃণমূলের যেসব নেতা এবং মন্ত্রীরা দুর্নীতি করেছেন তারা সবাই জেলে থাকবেন।
এদিকে আজ কোলাঘাটের সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও আমফান দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুলে রাজ্য সরকারকে বিঁধেছেন। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের পর সম্পূর্ণ বিকল হয়ে গিয়েছিল রাজ্য প্রশাসন। আগে থেকে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল তা সত্ত্বেও কাজ করা হয়নি। কেন করা হয়নি সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। একইসঙ্গে দাবি করেছেন, ঘূর্ণিঝড়ের পর যে আর্থিক সাহায্যের কথা বলা হয়েছিল সেখানে দুর্নীতি হয়েছে। পাশাপাশি তিনি এও অভিযোগ তুলেছেন, করোনা ভাইরাস মোকাবিলার বরাদ্দেও দুর্নীতি করেছে রাজ্য সরকার।