কলকাতা: লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ৷ যত সংক্রমণ বাড়ছে, ততই চিকিৎসার নামে মুনাফা লুটছে বেসরকারি হাসপাতালগুলির একাংশ৷ অভিযোগ, খাতায়-কলমে হাসপাতালের বেড থাকলেও বাস্তবে তা মিলছে না৷ অগত্যা বাধ্য হয়ে বেসরকারি নার্সিংহোমে ছুটতে হচ্ছে করোনা সংক্রমিত রোগীদের৷ করোনা মহামারীর সুযোগ নিয়ে বেসরকারি চিকিৎসাগুলির একাংশও রোগীদের থেকে লুটের মোটা অর্থ, অভিযোগ রোগীর আত্মীয়দের৷ এবার সেই সমস্ত সমস্যা সামাধানে বেসরকারি হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা সংক্রান্ত আরও এক দফায় অ্যাডভাইসরি জারি করল রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশন৷
রোগীদের অভিযোগ, বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার নামে লক্ষাধিক টাকা বিল করছে বেসরকারি নার্সিংহোমের একাংশ৷ অগ্রিম টাকা দিতে চাপ দেওয়া হচ্ছে রোগীর পরিবারকে৷ কখনও কখনও মাত্র একদিনের চিকিৎসার খরচ এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিল করছে বেসরকারি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ৷ করোনা মহামারী সুযোগে লাগামছাড়া বেসরকারি নার্সিংহোমে বিল নিয়ন্ত্রণে আনতে এবার নির্দেশিকা প্রকাশ করল রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশন৷ স্বাস্থ্য কমিশনের জারি করা অ্যাডভাইসারিতে একগুচ্ছ নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে৷
রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনের তরফ সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আনুমানিক মোট চিকিৎসা খরচের ২০ শতাংশের বেশি অগ্রীম বাবদ টাকা নেওয়া যাবে না৷ রোগীকে মুহূর্তেই ভর্তি নিতে হবে৷ ভর্তির সময় ৫০ হাজার টাকার বেশি নেওয়া যাবে না৷ সম্ভাব্য খরচ শতাংশের ২০ শতাংশের বেশি কখনও নেওয়া যাবে না৷ রোগীকে তৎক্ষণাৎ ভর্তি নিয়ে চিকিৎসা শুরু করে দিতে হবে বলেও জানানো হয়েছে অ্যাডভাইসরিতে৷ অগ্রিম দিতে না পারলে অতিরিক্ত ১২ ঘণ্টা সময় দিতে হবে রোগী পরিবারকে৷ ১২ ঘণ্টার মধ্যে পরিবারকে টাকা জোগাড় করতে ব্যর্থ হলে পরের এক ঘণ্টায় রোগীকে ছাড়তে পারবে হাসপাতাল৷ হাসপাতালে রোগীর টেস্ট বাবদ ২ হাজারের বেশি খরচ হলে, লিখিতভাবে পরিবারকে জানাতে হবে৷ কোনও পরীক্ষা বারবার করতে হলে লিখিতভাবে তার কারণ জানাতে হবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে৷ জরুরি চিকিৎসায় এই বিষয়গুলি বাধ্যতামূলক থাকবে না বলেও জানানো হয়েছে৷