শিশু চিকিৎসা পরিকাঠামোয় জোর রাজ্যের, শয্যা সংখ্যা বাড়ছে অনেকটাই

শিশু চিকিৎসা পরিকাঠামোয় জোর রাজ্যের, শয্যা সংখ্যা বাড়ছে অনেকটাই

কলকাতা: করোনার সম্ভাব্য তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলায় শিশু এবং গুরুতর সংক্রমিতদের চিকিৎসা পরিকাঠামো বাড়ানোর ওপর রাজ্য সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। সেই কারণে বিভিন্ন হাসপাতালে সিসিইউ শয্যার সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। একইসঙ্গে পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট বা পিকু এবং নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট বা নিকুর সংখ্যাও বাড়ানো হচ্ছে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডঃ অজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, করোনার তৃতীয় ঢেউকে সামনে রেখে ১৫৫০ টি সিসিইউ, ৫২৮ টি পিকু এবং ২৭০ টি নিকু বেড প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। শিশু চিকিৎসা পরিকাঠামো বাড়ানোর অঙ্গ হিসেবে সমস্ত হাসপাতাল মিলিয়ে মোট এ ধরনের ২৩৪৮ টি শয্যা প্রস্তুত করা বলে তিনি জানিয়েছেন। এছাড়া ১৬০ টি নতুন শয্যা যুক্ত করে রাজ্যে এসএনসিইউ বেডের সংখ্যা বাড়িয়ে ২৪৭৬ টি করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

অতিমারীর তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হুঁশিয়ারি প্রেক্ষিতে এই বিশেষ সতর্কতা নিয়েছে রাজ্য সরকার। তারই অঙ্গ হিসেবে রাজ্যে শিশু চিকিৎসার পরিকাঠামোকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। চিকিৎসা পরিকাঠামো মজবুত করার পাশাপাশি শিশু চিকিৎসকসহ সমস্ত সরকারের ডাক্তার নার্সিং কর্মী এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নে ওয়া হয়েছে। চিকিৎসা সংক্রান্ত নীতি নির্দেশিকা প্রস্তুত করার জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটিও গঠন করা হয়েছে। যাদের পরামর্শ মতো শিশুদের  চিকিৎসায় ব্যবহার্য ওষুধ বাজার থেকে কেনা কাজও শুরু হয়েছে বলে স্বাস্থ্য অধিকর্তা জানান। জানা গিয়েছে, তৃতীয় ঢেউ ইতিমধ্যেই ঢুকে পড়েছে দেশে এবং অক্টোবর মাসেই সর্বাত্মক সংক্রমণ বৃদ্ধি ঘটবে! একই সঙ্গে দাবি করা হয়েছে যে শিশুরা সবথেকে বেশি আক্রান্ত হবে। তবে সব থেকে বেশি চিন্তা থেকে যাচ্ছে সেই সব শিশুদের নিয়ে যাদের কোমর্বিডিটি রয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে তৈরি হওয়া জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের গঠিত একটি কমিটির রিপোর্ট এই কথা বলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *