চার পুরনিগমে ভোট নির্ঝঞ্ঝাট, হবে না পুনর্নির্বাচন, জানাল কমিশন

চার পুরনিগমে ভোট নির্ঝঞ্ঝাট, হবে না পুনর্নির্বাচন, জানাল কমিশন

35fc9a4bae260df1d24aecd256ef00f2

কলকাতা: রাজ্যের চার পুরনিগমে ভোট হয়েছে নির্ঝঞ্জাট৷ কোথাও কোনও সমস্যা হয়নি। এমনটাই জানাল নির্বাচন কমিশন৷ ফলে চার পুরনিগমে কোনও পুনর্নির্বাচন হবে না৷ উল্লেখ্য, শনিবার বিধাননগর, আসানসোল, চন্দননগর ও শিলিগুড়ির পুরনিগমের ভোট হয়৷ রাতে স্ক্রুটিনির পর রাজ্য নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট জানায়, ভোটে কোনও সমস্যা হয়নি। এমনকী রক্তপাত বা হিংসার ঘটনা ঘটেনি বলেও তাঁদের দাবি। ফলে চার পুরনিগমে কোথাও কোনও পুননির্বাচনের প্রয়োজন নেই। সোমবার সকাল আটটা থেকে শুরু হবে ভোট গণনা৷ 

আরও পড়ুন- কড়ামিঠে রোদের আমেজে কাটবে রবিবাসরীয় দুপুর, বৃষ্টি নিয়ে কী জানাল হাওয়া অফিস?

কমিশন নির্ঝঞ্ঝাট ভোটের কথা ঘোষণা করলেও শনিবার দিনভর চার পুরনিগম থেকেই বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর সামনে এসেছে। বুথে বুথে দেদার ছাপ্পাভোট, রিগিং, মারপিট এমনকী গুলি চলার অভিযোগ উঠেছে৷  সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় সেই অশান্তির ছবি ধরাও পড়েছে৷ শুধু তাই নয়, বিরোধী প্রার্থীদের উপর হামলা, অপহরণের অভিযোগও উঠেছে। আসানসোলেই দুটি ওয়ার্ডে গুলি চলেছে। বিজেপি প্রার্থীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ আসানসোলেই দুটি ইভিএম ড্যামেজ হয়েছে বলে জানিয়েছিল কমিশন। কিন্তু, শনিবার রাতে স্ক্রুটিনির পর সেই কমিশনই জানিয়ে দিল, কোথাও কোনও সমস্যা হয়নি।

রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, ভোটে গুলি চালানোর যে অভিযোগ করা হয়েছে তা ভ্রান্ত। তাদের যুক্তি, পুলিশ কোনও গুলির খোল বা কার্তুজ খুঁজে পায়নি। ভোটে কোথাও কোনও প্রাণঘাতী হিংসার অভিযোগ নেই৷ আর আসানসোলের ১৩ ও ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের যে বুথে ইভিএম বিভ্রাটের অভিযোগ সামনে এসেছিল, সে প্রসঙ্গে কমিশনের দাবি, ইভিএম ড্যামেজের খবর আসা মাত্রই তা বদলে দেওয়া হয়। কমিশনের তরফে আরও জানানো হয় যে, পুরনো ইভিএমে যে ভোট পড়েছে তা নষ্ট হয়নি। সেই ভোটগুলিও কাউন্ট হবে।

 হাইকোর্ট কমিশনকে বলেছিল এক দিনেই ১০৮টি পুরসভা ও ৪ টি পুরনিগমের ভোট গণনা করতে হবে। কিন্তু, কমিশন জানায়, একদিনে  গণনা সম্ভব নয়। আগে ১৬ ফেব্রুয়ারি গণনার দিন নির্ধারিত হয়েছিল।  কমিশন আদালতকে জানায় পৃথকভাবেই ভোট গণনা করতে হবে। সেই মোতাবেক ১৪ ফেব্রুয়ারি  চার পুরনিগমের ভোট গণনার দিন নির্ধারিত হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *