কলকাতা: বিহারে অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (মিম)-এর উত্থান ভাবাতে শুরু করেছিল রাজ্যের শাসক দলকে৷ মিম-কে নিয়ে অঙ্ক কষছে বিরোধীরাও৷ সেই মিম-এরই বাংলা শাখার প্রধান আনোয়ার পাশা যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে৷ সোমবার ব্রাত্য বসুর উপস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দান করেন তিনি৷ বিভিন্ন জেলা থেকে মিমের সদস্যরা ধাপে ধাপে তৃণমূলে যোগ দেবেন বলেও জানান ব্রাত্য বসু৷
আরও পড়ুন- কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বামেদের চাক্কা জ্যাম রুখতে গুচ্ছ সিদ্ধান্ত রাজ্যের
কিন্তু কেন মিম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন আনোয়ার পাশা? এর জবাবে তিনি বলেন, একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই পারেন বিজেপি’র বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে৷ অন্যদিকে ব্রাত্য বসু বলেন, রাজ্য সরকারের কাজের প্রতি আস্থা রেখেই মিম-এর সদস্যরা তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন৷ পশ্চিম বাংলায় উদার, গণতান্ত্রিক ও সর্বধর্ম সমন্বয়ের চেষ্টা, মেহনতী মানুষের পাশে থাকার যে অঙ্গীকার, আমাদের সরকার নিয়েছে, তার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে আমার এবং রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের হাত থেকে পতাকা নিয়ে তৃণমূলে যোগ দেবেন তাঁরা৷’’ এদিকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর সাংবাদিক বৈঠক করে আনোয়ার শাহ বলেন, ‘‘বিহার বিধানসভায় যেটা ঘটেছে, তা চিন্তার বিষয়। মিম বিহারে ২৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়েছিল। জিতেছে মাত্র পাঁচটিতে। ওখানে পুরো বিষয়টির মেরুকরণ করা হয়েছে৷ যা খুবই ভয়ঙ্কর৷ একটা আসনে লড়ে আশেপাশের পাঁচটি আসনে মেরুকরণের প্রভাব ফেলা যেতে পারেন। আমার মতে উনি একজন কনট্রাক্টর। বিজেপি’র চলার পথে কোনও গর্ত পড়লে, তা মেরামত করার জন্য যেমন সিভিল কন্ট্রাক্টরকে ডাকা হয়, তেমনই ওঁনাকে ডাকা হয়। আমাদের সেই কন্ট্রাক্টর থেকে সতর্ক থাকতে হবে।’’
আরও পড়ুন- আলুর দাম থেকে করোনা টিকা, সরকারি সভামঞ্চে কেন্দ্রকে নিশানা মমতার
তাঁর কথায়, বাংলায় সব ধর্মের সহাবস্থান রয়েছে৷ সেখানে ভেদাভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে৷ ভোট ভাঙিয়ে বিহারে আরও একবার ক্ষমতায় ফিরেছে এনডিএ জোট৷ কিন্তু বিহারের পরিস্থিতিতে বাংলায় হতে দেওয়া যাবে না৷ এই পরিস্থিতি রুখতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করতে হবে৷