পুরভোট কে পিছতে পারে? প্রশ্নে একে অপরের দিকে আঙুল রাজ্য-কমিশনের

পুরভোট কে পিছতে পারে? প্রশ্নে একে অপরের দিকে আঙুল রাজ্য-কমিশনের

কলকাতা: করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যেই হতে চলেছে চার কেন্দ্রের পুরভোট। তবে সেই ভোট স্থগিত করতে মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে যা শুনানি চলছে। ভোট করানো নিয়ে রাজ্য এবং নির্বাচন কমিশন দুজনেই অনড়। কিন্তু এই ভোট স্থগিত করার ক্ষমতা কার আছে? এই প্রশ্নের উত্তর মিলছে না! এদিন কলকাতা হাইকোর্টের এই প্রশ্নে উত্তর দিতে না পেরে একে অপরের দিকে আঙুল তুলছে রাজ্য সরকার এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

পুরসভা ভোট বাতিলের ক্ষমতা কার রয়েছে, রাজ্যের না রাজ্য নির্বাচন কমিশনের? কলকাতা হাইকোর্টের তরফে দু’পক্ষকে সেই প্রশ্ন করা হয়। কিন্তু এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি কেউই। রাজ্যের বক্তব্য নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা রয়েছে, আর কমিশন বলছে ঠিক এর উলটো। তাই আপাতত চার কেন্দ্রের পুরভোট হবে কিনা, সেই বিষয় ঝুলেই রইল, কোনও মিমাংসা হল না এই ইস্যুতে। গোটা ঘটনায় দুই পক্ষকে চরম তিরস্কার করেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। প্রশ্ন তোলেন, আইন তৈরির ২৯ বছর পরেও নিজেদের অবস্থান সম্পর্কে কেউ স্পষ্ট নয়, কী ভাবে সম্ভব এটি? আদালতের প্রশ্নের ভিত্তিতে কমিশন জানিয়েছে, স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে তারা কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারে না, রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া। অন্যদিকে রাজ্যের আইনজীবী জানান, রাজ্য মতামত দিতে পারে তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন নিজে।

শুধু এই নিয়েই প্রশ্ন নয়। ভোটের দিনক্ষণ কে ঠিক করে তাই নিয়েও রয়েছে দোটানা। কমিশন বলছে, রাজ্য। আর রাজ্য বলছে, কমিশন। এই বিষয় নিয়েও হতবাক হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। কমিশনের বক্তব্য, একবার ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে গেলে আর তা পিছনোর কোনও এক্তিয়ার তাদের নেই। রাজ্য সরকার অতিমারী আইন অনুযায়ী ভোট পিছনোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে। ঠিক এই প্রেক্ষিতে রাজ্য জানাচ্ছে, বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে গেলে আর রাজ্যের কোনও দায়িত্বই থাকে না। এখানেও একে অপরের কোর্টে বল ঠেলে দিয়েছে তারা। যার কারণে আপাতত এই শুনানির পরেও রায়দান স্থগিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen − eight =