কলকাতা: মঙ্গলবার তাঁর বাড়ির কাছে হরিশ মুখার্জি রোডের জয়হিন্দ ভবনে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরের আয়োজন করা হয়। সেখানেই এদিন বেলা ১১টা নাগাদ অন্যদের মতো লাইনে দাঁড়িয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান বলে কোনও অতিরিক্ত সুবিধা নয়, সাধারণ মানুষের মতোই লাইনে দাঁড়িয়ে তুললেন নিজের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড৷ এদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
যদিও ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য বিমা রয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের । তা সত্ত্বেও রাজ্যের ১০ কোটি মানুষের সঙ্গে ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ড করালেন তিনিও। সোমবারই নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, তিনিও স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড করাবেন। সেই কথামতো মঙ্গলবার সাধারণ মানুষের সঙ্গে লাইনে দাঁড়িয়ে নাম নথিভুক্ত করলেন মমতা।
এদিন সকালে ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের এই ‘দুয়ার সরকার’ ক্যাম্পে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড বিতরণ কেন্দ্রে সাধারণ মানুষের সঙ্গে লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েন মমতা। কার্ড লাইনে অপেক্ষার সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্যরা পরিষেবা ঠিক মতো পাচ্ছেন কি না, তার খোঁজখবরও নেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই লাইন বজায় রেখে ধীরে ধীরে এগিয়ে যান ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পের জন্য নির্ধারিত টেবিলের সামনে। সেখানে নিজের ছবি তুলিয়ে, বায়োমেট্রিক করিয়ে সমস্ত নিয়ম মেনে এদিন ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ড নেন তিনি।
প্রসঙ্গত, বাংলার সাড়ে ৭ কোটি মানুষের কাছে প্রকল্প পৌঁছনোর পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্য সরকারের। বেসরকারি হাসপাতালেও মিলবে বিমার সুবিধে। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিমার সুবিধে।