কলকাতা: গতকাল নারদা মামলায় সিবিআই গ্রেফতার করে রাজ্যের চারজন হেভিওয়েট নেতাকে। সারাদিনের টানাপোড়েনের পর ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে রাতেই শারীরিক অসুস্থতার কারণে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। পরবর্তী ক্ষেত্রে একই সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হল সুব্রত মুখোপাধ্যায়ও। এবার তাঁদের চিকিৎসায় এসএসকেএমে তৈরি হল মেডিক্যাল বোর্ড। মেডিক্যাল বোর্ডে রাখা হয়েছে হাসপাতালের তিন গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের প্রধান দায়িত্বপ্রাপ্তকে। এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছেন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, বিধায়ক মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান চিকিৎসক সরোজ মণ্ডলের নেতৃত্বে গঠন করা হয়েছে ওই মেডিক্যাল বোর্ড। সেই দলে রয়েছেন হাসপাতালের মেডিসিন এবং চেস্ট বিভাগের দুই প্রধান।
গতকাল প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়ার পরেই শারীরিক সমস্যা শুরু হয় তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মদন মিত্রের। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এসএসকেএমে ভর্তি হওয়ার পর তাঁকে অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তী ক্ষেত্রে আবার অক্সিজেনের সমস্যা দেখা গিয়েছিল তাঁর। সেই প্রেক্ষিতে ফের একবার অক্সিজেন দেওয়া হয় মদন মিত্রকে। তবে এখন তিনি সুস্থ রয়েছেন বলে জানাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম গতকাল রাত থেকেই রয়েছেন প্রেসিডেন্সি জেলে। যদিও তাঁরও শারীরিক সমস্যা ধরা পড়েছে।
জেলেই শারীরিক পরীক্ষা করা হয় ফিরহাদ হাকিমের৷ জেলের চিকিৎসকরাই তাঁর পরীক্ষা করেন৷ সকালে প্রেসিডেন্সি জেলে যান ফিরহাদ-কন্যা৷ তিনি জানান, ফিরহাদ হাকিম শারীরিক ভাবে সুস্থ আছেন৷ কিন্তু বাংলার মানুষের জন্য কাজ করতে পারছেন না৷ সে কারণেই মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ছেন৷ তিনি আরও বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে সুপ্রিমকোর্ট জানিয়েছিল, এখন যাতে কাউকে গ্রেফতার করা না হয়৷ এতে সংক্রমণ আরও বাড়ার সম্ভাবনা থাকে৷ তার উপর ববি হাকিম কর্পোরেশনের চেয়ারপার্সন৷ এই সময় প্রত্যেক দিন উনি কাজে বেড়িয়েছেন৷ যাতে কলকাতার মানুষ, বাংলার মানুষ সুস্থ থাকে, ভালো থাকে৷