কলকাতা: এখনও চলছে অনশন। আজ ২৩তম দিন। সল্টলেকে এসএসসি চাকরিপ্রার্থীরা মেধা তালিকা অনুযায়ী চাকরিতে নিয়োগের দাবিতে গত ৩৩দিন ধরে বিক্ষোভ-অবস্থানে শামিল রয়েছেন। মঙ্গলবার তাদেরই একটি দল কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির চাকরীপ্রার্থীরা, যাদের ২০১৬ সালে এসএসসি পরীক্ষা হয়েছিল এবং ২০১৮ সালে ফল প্রকাশ হয়েছিল, পরীক্ষার ৫ বছর পরেও তারা চাকরি পাননি। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে এই চাকরীপ্রার্থীরা কলকাতা প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ দেখিয়েছিল। সেই সময়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, “লোকসভা ভোটের নির্বাচননী বিধি লাগু হয়ে গিয়েছে। তার জন্যই চাকরীপ্রার্থীদের দাবি স্থগিত রয়েছে। এখানে আমাদের কিছু করার নেই।” লোকসভা নির্বাচনের মুখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরির প্রতিশ্রুতি দেন।
চাকরির দাবিতে আমরণ অনশনে বসা শিক্ষক-শিক্ষিকারা জানিয়েছেন, “২০১৯ সালে নির্বাচনী বিধি লাগু হয়েছিল বলে আমাদের দাবি মানা হয়নি। তারপরে ২ বছর হয়ে যাওয়ার পরও বারবার কোড অফ কনডাক্টের কথা তুলে ধরে আমাদের দাবি দমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে কেন? আমাদের সময়েই বারবার প্রতিবন্ধকতা আসছে কেন? আমরাই কেন বারবার বঞ্চিত হব?”
মঙ্গলবার এই একই দাবিতে তারা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনের সামনে রাস্তায় শুয়ে পড়ে প্রতিবাদ দেখান। তাদের দাবি ছিল, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি দেখা করে তাদের সমস্ত অভিযোগ জানায়ে এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে আবেদন জানানো। কিন্তু পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন তারা। শেষে বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতার করে হরিশ চ্যাটার্জী স্ট্রীট ফাঁকা করে পুলিশ৷