আজ বিকেল: নিজের রাজ্যেই ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানের মুখে পড়ে মেজাজ হারালেন মমতা! শনিবার চাঞ্চল্যকর একটি ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল দুনিয়ায়৷ ঘটনাটি খড়গপুরে বলে দাবি করা হচ্ছে৷ নির্বাচনী সমাবেশে যোগ দিতে তিনদিনের জন্য মেদিনীপুরে যান মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সুপার সাইক্লোন ফনির খবর কানে আসতেই সমস্ত সভা ও কর্মসূচি বাতিল করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন ফনির প্রকোপ কমলে কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু, এদিন গাড়ি করে যাওয়ার সময়ই ঘটে বিপত্তি৷ ভাইরাল একটি ভিডিওতে রাস্তার পাশের জটলা থেকে শোনা যায় জয় শ্রীরাম স্লোগান৷
গাড়ি থামিয়ে নেমে পড়লেন মমতা। পিছনের দরজা খুলে তাঁর দেহরক্ষীও নেমে পড়েছেন ততক্ষণে। কিন্তু দিদি নিরাপত্তার ধার ধারেন না কখনওই। গাড়ি থেকে নেমেই এগিয়ে গেলেন! ওদিকে মমতাকে নামতে দেখেই স্লোগান তোলা ছেড়ে দে ছুট! কটমট করে ওদের দিকে তাকিয়ে দিদি বলতে দেখা গেল, -‘কী রে পালাচ্ছিস কেন? সব হরিদাস কোথাকার!’ মমতা এমনই। বরাবরই ডাকাবুকো। মুখ্যমন্ত্রী হলেও তাঁর ভিতরে বিরোধী নেত্রীর সত্ত্বা সদা জাগ্রত।
ভিডিও ভাইরাল হতেই প্রতিক্রিয়া দেয় তৃণমূল৷ টুইট করে লেখা হয়, ‘‘বিজেপি মরিয়া হয়ে গেছে। ওরা একটি ভিডিও বিকৃত করে মিথ্যা প্রচার করছে। কারণ ওরা একমাত্র এই কাজটাই ভালো করতে পারে। বাংলার মানুষ বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। বিজেপিও এটা ভাল করেই জানে। ২৩শে মে-র পর ওদের লুকোনোর জায়গা থাকবে না।’’
বিজেপি মরিয়া হয়ে গেছে। ওরা একটি ভিডিও বিকৃত করে মিথ্যা প্রচার করছে। কারণ ওরা একমাত্র এই কাজটাই ভালো করতে পারে। বাংলার মানুষ বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। বিজেপিও এটা ভাল করেই জানে। ২৩শে মে-র পর ওদের লুকোনোর জায়গা থাকবে না।
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) May 4, 2019
Why is DIDI so upset with chants of JAI SHRI RAM & why does she call it “GALAGALI”? pic.twitter.com/dTrBqrS6Oo
— BJP Bengal (@BJP4Bengal) May 4, 2019
ভিডিও দেখে (ভাইরাল হওয়া ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি আজ বিকেল), পর্যবেক্ষকরা অনেকেই অন্য কিছু যেন দেখতে পাচ্ছেন! তাঁদের কথায়, এই যে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় দেখে জয় শ্রীরাম ধ্বনি তুলছে, এও তো রাজনৈতিক ইঙ্গিতবাহী। ২০১১ সালে মমতা ক্ষমতায় আসার পর এমন সাহস কেউ দেখিয়েছে! দেখানোর প্রশ্ন গোড়াতে ছিল না। পরিবর্তনের পর ২০১৪ সালের ভোট পর্যন্ত বাংলায় তৃণমূল সরকারের মধুচন্দ্রিমা চলেছে। বিরোধ তেমনই। কিন্তু এখন মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় দেখে স্লোগান তুলতেও ভয় পাচ্ছে না। দিদি গাড়ি থেকে নেমে পড়ার পর পুলিশ, নিরাপত্তা রক্ষী দেখে কেউই মুখোমুখি তর্ক করবে না তা স্বাভাবিক। কিন্তু তার আগে যা হয়েছে তা চিন্তার কারণ বটে।