কলকাতা: শিক্ষক ঐক্য মুক্তমঞ্চের আন্দোলন ও প্রাথমিক শিক্ষকদের চাঁদা বয়কটের জেরে কার্যত থমকে গেল ৪০তম মুর্শিদাবাদ জেলা বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান৷ রাজ্য সরকারের তরফে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার খরচে ৪০ শতাংশ বরাদ্দ বৃদ্ধির কথা বলা হলেও বাস্তবে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আনুষ্ঠিত হল সাদামাটা ভাবেই৷ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে একই ছবি ধরা পড়েছে৷এ প্রসঙ্গে শিক্ষক ঐক্য মুক্তমঞ্চের মুর্শিদাবাদ জেলা সম্পাদক তন্ময় ঘোষ বলেন, ‘‘আমরা চাই, এর একটা স্থায়ী সমাধান হোক৷ ক্রীড়া প্রতিযোগিতাকে আরও একটু গুরুত্ব দিক রাজ্য সরকার৷’’
প্রাথমিকে খেলার ক্ষাতে বরাদ্দা বাড়ানোর দাবি জানিয়ে সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ও শিক্ষামন্ত্রীর দপ্তরে সংক্রান্ত এক ডেপুটেশন জমা দেয় প্রাথমিক শিক্ষকদের একাংশ। তাতে শিক্ষাবর্ষের শুরুতে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজন করার পাশাপাশি সরকারকে প্রতিযোগিতার সমস্ত খরচ বহন করার দাবি জানানো হয়। সরকারি বরাদ্দের পাশাপাশি এই ধরনের প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে শিক্ষকদের থেকে চাঁদা তোলার অভিযোগ উঠেছে। যদিও শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, শিক্ষকদের থেকে চাঁদা নেওয়া যাবে না। শিক্ষা দপ্তরের এই নির্দেশিকা জারি হওয়ার দিনই চাঁদাকে কেন্দ্র করে বারাসতের কয়েকটি স্কুল সরগরম হয়ে ওঠে। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সম্পর্কে বারাসত সার্কেলের একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গেটে অসম্মানজনক পোস্টার দেওয়াকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায়। তাঁদের অভিযোগ, বিগত বছরে সার্কেলস্তরে বিদ্যালয়ের ক্রীড়া প্রতিযোগিতার জন্য বারাসত চক্রের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা ‘চাঁদা’ দিয়ে সাহায্য করেছিলেন। এই বিষয়টি বাধ্যতামূলক নয়। তাই এবার অনেকেই দেননি। সেই কারণেই কেউ বা কারা বিদ্যালয়ের গেটে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নাম উল্লেখ করে অসম্মানজনক পোস্টার দিয়েছে। ওই শিক্ষক-শিক্ষিকারা বিষয়টি শিক্ষাদপ্তর সহ সংশ্লিষ্ট জায়গায় অভিযোগ দায়ের করেছেন৷ পরে, পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে ৪০ শতাংশ বরাদ্দ বৃদ্ধির ঘোষণা করেন শিক্ষামন্ত্রী৷ কিন্তু, প্রয়োজনীয় অর্থ না মেলায় সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ শিক্ষকদের একাংশ৷