কলকাতা: করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্যজুড়ে কার্যত লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ১ জুলাই পর্যন্ত জারি থাকবে সেই বিধিনিষেধ৷ অন্যদিকে এই পরিস্থিতিতে বাতিল হয়ে গিয়েছে মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা৷ বন্ধ রয়েছে স্কুল-কলেজ৷ যা নিয়ে আরও একবার রাজ্য সরকারকে নিশানা করলেন বঙ্গ বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷
আরও পড়ুন-সত্যজিৎ খুনে CID-র চার্জশিটে ‘সন্দেহভাজন’ মুকুল, এড়ালেন হাজিরা
এদিন তোপ দেগে দিলীপবাবু বলেন, ‘‘স্কুল-কলেজ খোলা রাখলে সরকারের খরচ৷ তবে মদের দোকান খুললে লাভ৷ বাচ্চারা স্কুলে গিয়ে করোনা ছড়াবে আর মদের দোকানে লম্বা লাইনে মারামারি করলে সংক্রমণ ছড়াবে না৷’’ প্রসঙ্গত, রাজ্যে ধীররে ধীরে শুরু হয়েছে আনলক প্রক্রিয়া৷ সোমবার নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ১৬ জুন থেকে বাড়ছে বাজার ও দোকানপাট খোলা রাখায় সময়৷ নির্দিষ্ট সংখ্যক কর্মী নিয়ে খুলছে সরকারি ও বেসরকারি অফিস৷ কিন্তু স্কুল-কলেজ বন্ধ সেই গত বছর মার্চ মাস থেকে৷ চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য স্কুল খোলা হলেও করোনা পরিস্থিতিতে তা ফের বন্ধ করে দেওয়া হয়৷ অথচ খুলে দেওয়া হয়েছে মদের দোকান৷ যেখানে উপচে পড়েছে ভিড়৷ হুড়োহুড়ি করে চলছে মদ কেনার পালা৷ যা নিয়ে আরও একবার রাজ্য সরকারকে বিঁধলেন বঙ্গ বিজেপি সভাপতি৷
প্রসঙ্গত, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই দিশেহারা হয়ে পড়ে গোটা দেশ৷ উদ্বেগ বাড়িয়ে বাংলাতেও হু হু করে বাড়তে থাকে সংক্রমণ৷ পরিস্থিতি মোকাবিলায় বন্ধ করে দেওয়া হয় লোকাল ট্রেন৷ পরবর্তী সময় একে একে সমস্ত গণপরিবহণ বন্ধ করে দেওয়া হয়৷ জারি হয় লকডাউন বিধি নিষেধ৷ যার ফলে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে আসে৷ আপাতত ১ জুলাই পর্যন্ত এই বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে৷ সেই সঙ্গে জানানো হয়েছে স্কুল-কলেজ সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান৷