কলকাতা: নারদ মামলায় দিল্লি থেকে কলকাতায় এল স্পেশাল টিম। শুক্রবার গভীর রাত পর্যন্ত সিজিও কমপ্লেক্সে স্পেশাল টিমের সদস্যদের সঙ্গে চলে সিবিআই আধিকারিকদের বৈঠক। সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়ায় মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের কোথায়, কত সম্পত্তি, সব সংক্রান্ত বিষয় খতিয়ে দেখছে স্পেশাল টিমের সদস্যরা।
ইতিমধ্যেই এই মামলার শুনানির জন্য পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ গঠন করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল। আগামী সোমবার এই মামলার শুনানি হবে আবার। যে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ গঠিত হয়েছে সেই বেঞ্চে রয়েছেন, বিচারপতি ইন্দ্র প্রসন্ন মুখোপাধ্যায়, বিচারপতি হরিশ টন্ডন, বিচারপতি সৌমেন সেন, বিচারপতি অরিজিত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং স্বয়ং ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল। আজ এই প্রেক্ষিতে বিবৃতি প্রকাশ করে এমনটাই জানিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্টার জেনারেল প্রসেনজিৎ বিশ্বাস। জানা গিয়েছে আগামী সোমবার সকাল ১১ টায় এই মামলার পরবর্তী শুনানি হতে চলেছে। আপাতত গ্রেফতার হওয়া চারজনকে জামিন না দিলেও গৃহবন্দি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে। অর্থাৎ এই সপ্তাহে বাকি দুদিনও তাঁদের গৃহবন্দি থাকতে হবে।
এই প্রেক্ষিতে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বাড়ি ফিরতে চলেছেন। কিন্তু বাকি তিনজন অর্থাৎ সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায় কবে বাড়ি ফিরতে পারবেন তা এখনও পরিষ্কার নয়। কারণ তাদের বাড়ি ফেরার ব্যাপারটা নির্ভর করছে চিকিৎসকদের ওপর। এই মুহূর্তে তাঁরা তিন জনেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জানা গিয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মদন মিত্রের ফুসফুসে সংক্রমণ রয়েছে। করোনাভাইরাস মুক্ত হলেও ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত তাঁর। সেই প্রেক্ষিতে আরো বেশ কয়েক দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকতে হবে মদন মিত্রকে। অন্যদিকে জানা গিয়েছে, সিরোসিস অফ লিভার রয়েছে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। বহুদিনের পুরনো রোগ হলেও এখন তা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এদিকে তৃণমূল কংগ্রেস মন্ত্রী সুব্রতা মুখোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কেও সিদ্ধান্ত নেবে এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।