কলকাতা: হেলিকপ্টার ভোটের প্রচারে ব্যবহার হয়েছে ভারতের দিকে দিকে। প্রায় এক দশক ধরে এই রেওয়াজ দেখা যাচ্ছে। নতুন কিছু নয়। কিন্তু, নির্বাচন চলাকালীন, তার আগে ও পরে এলাকার শান্তি রক্ষার জন্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষে পর্যবেক্ষকের জন্য হেলিকপ্টারের ব্যবহার নতুন বটে। রাজ্যের দুই পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে এবং মৃনাল কান্তি দাস হেলিকপ্টারে সেই সব জায়গায় নিমেষেই পৌঁছে যেতে পারবেন যেখানে গন্ডগোলের খবর পাওয়া যাবে।
পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের জন্য দুই জন বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক পাঠাচ্ছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ইঙ্গিতবাহী ভাবে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা বলেছেন, “দরকার হলে আরও একজনকে পাঠাতে পারি।” নির্বাচনের সময় রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করবে কমিশন, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে সুনীল অরোরা। রাজ্যে বিগত কয়েকটি নির্বাচন এবং আইন শৃঙ্খলার অবনতির কথা মাথায় রেখে নির্বাচন কমিশন ৮ দফায় এই নির্বাচন সংগঠিত করবে। মুখ্য নির্বাচন কমিশন বলেছেন, ২০১৬ সালে ৬ দফা নির্বাচন হয়েছিল। ষষ্ঠ দফাকে ‘এ’ এবং ‘বি’ – এই দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছিল। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে ৭টি দফায় নির্বাচন হয়েছিল। ১৯৮৮ ব্যাচের আই এ এস অফিসার অজয় নায়েক’কে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে বিশেষ অবসার্ভার বা পর্যবেক্ষক হিসাবে থাকবেন। দুই বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক হলেন – ১৯৭৭ ব্যাচের আই পি এস অফিসার মৃনাল কান্তি দাস এবং ১৯৮৮ ব্যাচের আই পি এস বিবেক দুবে। বিবেক দুবে ২০১৯ সালে পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা নির্বাচনে পুলিশ বিশেষ পর্যবেক্ষকের ভূমিকায় ছিলেন। ত্রিপুরার একই দায়িত্বে ছিলেন মৃনাল কান্তি দাস।
কোনও জায়গায় আইন – শৃঙ্খলার সমস্যা হলেই দ্রুত পৌঁছে যেতে হেলিকপ্টার ব্যবহার করবে কমিশন। সরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে হেলিকপ্টারের জন্য আবেদন করা হয়েছে। অতীতে প্রণব মুখোপাধ্যায় থেকে সোনিয়া গান্ধী, নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় – হেলিকপ্টার ব্যাবহার করেছেন। এখন করবেন পুলিশ পর্যবেক্ষকরা। দিন বদলে যায়।