‘জনতার ব্রিগেডে’ বাংলায় ভাষণ দিয়ে খোরাক ইয়েচুরি, শোনালেন গল্প

কলকাতা: তিন বছর পর ফের বড়সড় ব্রিগেড সমাবেশ করছে রাজ্য বামফ্রন্ট৷ সমাবেশ মঞ্চ থেকে এদিন তৃণমূল-বিজেপিকে আক্রমণ করেন বাম নেতারা৷ এদিন মঞ্চে উঠে হাসির খোরাক হলেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি৷ আধা বাংলা, আধা হিন্দিতে ভাষণ দিতে গিয়ে সভার তাল খোয়ালেন ইয়েচুরি৷ এদিন মঞ্চে উঠে দলীয় নেতা কর্মীদের চৌকিদারের গল্প শুনিয়ে নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ

‘জনতার ব্রিগেডে’ বাংলায় ভাষণ দিয়ে খোরাক ইয়েচুরি, শোনালেন গল্প

কলকাতা: তিন বছর পর ফের বড়সড় ব্রিগেড সমাবেশ করছে রাজ্য বামফ্রন্ট৷ সমাবেশ মঞ্চ থেকে এদিন তৃণমূল-বিজেপিকে আক্রমণ করেন বাম নেতারা৷ এদিন মঞ্চে উঠে হাসির খোরাক হলেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি৷ আধা বাংলা, আধা হিন্দিতে ভাষণ দিতে গিয়ে সভার তাল খোয়ালেন ইয়েচুরি৷ এদিন মঞ্চে উঠে দলীয় নেতা কর্মীদের চৌকিদারের গল্প শুনিয়ে নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করেন৷ বলেন, ‘‘চৌকিদারের ছুটি হয়ে যাবে৷ কারণ দেশ নেতা নয়, নীতি চাই৷’’  বলেন, ‘‘বাংলার মানুষ দিল্লি থেকে মোদীকে আর বাংলা থেকে মমতাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেবে৷ বাধা এলে প্রতিরোধের আগুন জ্বলবে৷’’

এদিন ব্রিগেডে আরএসপির সাধারণ সম্পাদক ক্ষিতি গোস্বামী বলেন, ‘‘নোট বাতিলে ৮৬ শতাংশ মানুষের ক্ষতি হয়েছে৷ নোটবন্দির নামে দেশকে লুট করা হয়েছে৷ কর্মসংস্থানের কথা বলে বেকারত্ব বাড়িয়েছে৷ সাধারণ মানুষকে ধোঁকাবাজির করা হয়েছে৷ এখন বিজেপি ধর্মের নামে রাজনীতি করছে৷ আর রিজার্ভ ব্যাঙ্কের টাকার দিকেও হাত বাড়িয়েছে মোদি সরকার৷ দেশের সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলি নষ্ট করা হয়েছে৷ সংস্থাগুলির মাথা বসে গিয়েছে৷ একদিকে দেশে বিজেপির গণতন্ত্র লুটের রাজনীতি করছে, অন্যদিকে নিন্দার রাজনীতি করছে তৃণমূল৷ আসুন তাই আমরা নতুন সরকার গড়ে তুলি৷’’

এদিন ব্রিগেডে বক্তব্য রাখেন সিপিআইয়ের সাধারণ সম্পাদক সুধাকর রেড্ডি৷ বলেন, ‘‘অর্থনৈতিক ভিত্তি ক্ষতিগ্রস্ত৷ গণতন্ত্র বিপন্ন৷ গো-রক্ষার নামে মানুষ খুন করা হচ্ছে৷ ৫ বছরে বিজেপি কিছুই করতে পারেনি৷ তাই সরকারের পতন চাই৷’’ এদিন হুগলি জেলা সিপিএমের নতুন সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ বলেন, ‘‘মোদি গান্ধীজি চশমা চুরি করে স্বচ্ছ্ব ভারত করা হয়েছে৷ যে ঘৃণা ও বিদ্বেষের রাজনীতি গান্ধীজিকে হত্যা করেছিল, সেই রাজনীতি এরা বাড়িয়ে দিচ্ছে৷ স্বাধীনতা আন্দোলনে বিজেপির কোনও অবদান নেই৷ আর এদের মুখেই বড় কথা৷ রাজ্যের এই পরিবেশে শিল্প আসবে না৷ তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই৷ গ্রামে গ্রামে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হচ্ছে৷ কৃষকদের আয় কমছে৷ শুধু শিল্পপতিরা লাভবান হচ্ছে৷ তাই এই সরকারের আর আমাদের দরকার নেই৷’’

জনতার ব্রিগেড’ সমাবেশের মঞ্চ থেকে তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু৷ রবিবার সমাবেশ মঞ্চ থেকে বলেন, ‘‘আজ দেশ-রাজ্যে গণতন্ত্র লুট করা হয়েছে৷ বিজেপি-তৃণমূল একই ভাবে দেশে-রাজ্য অশান্তির পরিবেশ তৈরি করেছে৷ কারণ, বিজেপি-তৃণমূল একই বৃন্তে দুটি ফুল৷ আজ, রাজ্য আরএসএস বেড়ে ওঠার পিছনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাত সব থেকে বেশি৷ তাই আমরা বলছি এই দুই সরকারের বিনাশ৷’’

এদিন সভার প্রথম বক্তা হিসাবে বলতে গিয়ে মেজাজ হারান বিমান৷ মঞ্চে বাম নেতাদের কথা বলতে নিষেধ করে বলেন, ‘‘দেখছেন না, কত মানুষ এসেছেন! এত কী কথা৷ এই সব এখানে চলবে না৷’’ সভা শেষে কর্মীদের বলেন, ‘‘আপনারা কেউ মুখে কিছু বলবেন না৷ স্বেচ্ছাসেবকদের ডেকে নিজেদের সমস্যা নিজেরা মিটিয়ে ফেলুন৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

13 − eleven =