কলকাতা: বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হতে রোমর বেঁধে ময়দানে নেমে পড়েছে বিজেপি। সোমবার সেলিমপুরে বিজেপির হয়ে রোড শো করেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। এরপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে শোভন বলেন, তিনি ৩৪ বছর বাম শাসনের বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন। এরপর ২০১১ সালে পরিবর্তনের কথা বলে বাংলার দায়িত্ব নেন তিনি। আর ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যালট বক্সের বদলে আসন দখল করে তাঁরই সরকার। আজ এমনই অভিযোগ তোলেন শোভন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, রানাঘাটে মুখ্যমন্ত্রী বলেন সোনার বাংলা তৈরি করেছেন। যে সোনার বাংলার কথা বলেছিলেন মমতা এটি কি সেই সোনার বাংলা? কলকাতার প্রাক্তন মেয়র ও বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায় সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে বলেন, “২০১৮ এর লোকসভা নির্বাচন আপনার শতরঞ্চির খুঁট ধরে টেনেছে। ১৮টি সিট নিয়ে চলে গিয়েছে। আর বিানসভা নির্বাচন আপনার শতরঞ্চির খুঁট ধরে সমস্তটাই নিয়ে যাবে। আপনার অস্তিত্ব বিপন্ন।”
তিনি বলেন, বাংলার মানুষ হিসেবে তিনি এখন খুশি। শোভন এও বলেন, যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা করেন তখন বিজেপির সঙ্গে মিলে বাংলার মানুষের ভোট চেয়েছিলেন। এখন সেই দলের বিরুদ্ধেই লড়তে চাইছেন মমতা। সোনার বাংলা করার জন্য মমতা প্রতিহিংসা হয়ে গিয়েছিলেন। তিনি যখন মমতার কাছে কারোর পাশে দাঁড়নোর কথা বলতে গেছিলেন তাঁকে বিকৃত কথা শুনতে হয়েছিল। এরপরই বৈশাখী বন্দ্যোপাদ্যায়ের কথা টেনে আনেন শোভন। বলেন কলকাতার বর্তমান মেয়র বলেছিলেন, “উখাড়কে ফেক দো।” একজন পদাধিকারীর মুখে একথা বেমানান বলে মন্তব্য করেন শোভন। বলেন, দুঃখের দিনের বন্ধুই প্রকৃত বন্ধু। ইঙ্গিত করেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর দুঃসময়ে তাঁর পাশে ছিলেন। অথচ তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের পদস্থ পদাধিকারী যে কথা বলেছেন, তা কি সমর্থনযোগ্য? এই সোনার বাংলারই কি স্বপ্ন দেখেছিলেন মমতা?