সেলিমপুর: বিজেপির হয়ে প্রচারসভায় যোগ দিতে সেলিমপুর গিয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। সেখানে নিজের পদত্যাগের কথা বলেন শোভন। জানান, একাধিকবার দলে থাকাকালীন একাধিকবার তাঁর মাথা নত হয়েছে।
একটি উদাহরণ দিতে গিয়ে শোভন বলেন, বিধানসভায় একবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তিনি বলেন গীতাঞ্জলি প্রকল্পের অধীনে ২৫ লক্ষ বাড়ি তৈরির টাকা অনুমোদন করা হয়েছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী তার ১০ মিনিট পরেই ভরা বিধানসভায় বলেন, শোভন ঠিক বলছেন না। সংখ্যাটি হবে ৪০ লক্ষ। সেদিন মুখ্যমন্ত্রীর মুখরক্ষার খাতিরে সেদিন তিনি চুপ করে ছিলেন। মেনে নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর কথা। শোভন অভিযোগ তোলেন, তাঁকে বাড়ি ছাড়াও করা হয়েছে। তাই তিনি আজ দক্ষিণ কলকাতায় থাকেন। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে তিনি পদত্যাগ করেন।
সামনে আরও আনেক সত্য উদঘাটিত হবে বলে মন্তব্য করেন শোভন। এও বলেন, তিনি দলের অনেক তথ্যই জানেন। কিন্তু সর্বসমক্ষে বলছেন না। তবে যে পদ্ধতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এগোচ্ছেন, তাতে তাঁকে সমর্থন জানাতে না পেরে সরে এসেছেন শোভন। মন্ত্রিত্ব ছাড়ার তাঁকে কর্পোরেশনের প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। সেদিন শোভন বলেছিলেন পরের দিনই তিনি ইস্তফাপত্র দেবেন। এরপরই তিনি বিজেপিতে যোগ দেন।
এদিন সভায় শোভন বলেন, যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা করেন তখন বিজেপির সঙ্গে মিলে বাংলার মানুষের ভোট চেয়েছিলেন। এখন সেই দলের বিরুদ্ধেই লড়তে চাইছেন মমতা। সোনার বাংলা করার জন্য মমতা প্রতিহিংসা হয়ে গিয়েছিলেন। তিনি যখন মমতার কাছে কারোর পাশে দাঁড়নোর কথা বলতে গেছিলেন তাঁকে বিকৃত কথা শুনতে হয়েছিল। এরপরই বৈশাখী বন্দ্যোপাদ্যায়ের কথা টেনে আনেন শোভন। বলেন কলকাতার বর্তমান মেয়র বলেছিলেন, “উখাড়কে ফেক দো।” একজন পদাধিকারীর মুখে একথা বেমানান বলে মন্তব্য করেন শোভন। বলেন, দুঃখের দিনের বন্ধুই প্রকৃত বন্ধু। ইঙ্গিত করেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর দুঃসময়ে তাঁর পাশে ছিলেন।