নেত্রী আসার কথা ছিল, করোনা আবহে সভা বন্ধ রাখলেন শোভনদেব

নেত্রী আসার কথা ছিল, করোনা আবহে সভা বন্ধ রাখলেন শোভনদেব

কলকাতা: রাজ্য এবং দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি খুব একটা সুখকর একেবারেই নয়। রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল পরপর সভা এবং মিছিল করছে। যার ফলে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি আরো খারাপ হচ্ছে বলে অনুমান করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই প্রেক্ষিতে ভবানীপুর কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় নিজের প্রচার জনসভা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ২২ এপ্রিলের ওই সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও সেই সভা বাতিল করেছেন তিনি। সংক্রমনের দিকে নজর দিয়ে অবশ্যই এটি সাহসী এবং দায়িত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।

গতকাল নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নিয়ে বামফ্রন্ট জানিয়েছে যে তারা কোনো রকমে বড় মিছিল বা জমায়াত করবে না। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে ভবানীপুর তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় আজ এই সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিছুদিন আগে নিজে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাই রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই একটু বেশি চিন্তিত তিনি। আরও জানা গিয়েছে, আগামী দিনে আর কোনো বড় সভা করবেন না শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে শেষ তিন দফার নির্বাচনে একদিনে করার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, যা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা নির্বাচন কমিশনের। সংক্রমণ আটকাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। ইতিমধ্যে আবার রাজ্যের এক কংগ্রেস প্রার্থী ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। তাই পরিস্থিতি যে বেশ জটিল তা নিয়ে কোন দ্বিমত থাকতে পারে না। 

প্রসঙ্গত জানা যাচ্ছে, বাকি চার দফা নির্বাচনে একদিনে করার প্রস্তাব নির্বাচন কমিশনকে দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। অবশ্য ভাবে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ এরপর আগামীকাল সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছে নির্বাচন কমিশন। সেই বৈঠকেই এই প্রস্তাব দিতে চলেছে তৃণমূল। তবে সূত্রের খবর, চার দফার নির্বাচনে একদিনে না হলেও শেষ তিন দফার নির্বাচনে একদিনে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে নির্বাচন কমিশনের তরফে। যদিও সে ক্ষেত্রে বাহিনী নিয়ে সংকটে পড়তে হবে এমন আশঙ্কাও রয়েছে। প্রথম চার দফার নির্বাচনে প্রত্যেক দফায় অশান্তি হয়েছে রাজ্যে। তাই একদিনে যদি তিন দফার ভোট সম্পন্ন করতে হয় তাহলে কেন্দ্রীয় বাহিনী আরো বাড়াতে হবে বলে ধারণা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *