কলকাতা: তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে আসার পর বেশ খানিকটা সময় রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় ছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। মূলত পারিবারিক ইস্যু নিয়েই তাঁকে ঘিরে চর্চা হত এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়, রত্না চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে বিতর্ক ছিল বহাল। সেই সময়ের নিষ্ক্রিয়তা কাটিয়ে প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে ফিরে এসেছিলেন শোভন বিজেপির হাত ধরে। তারপর বৈশাখীকে পাশে নিয়ে তাঁকে বিজেপির হয়ে প্রচার করতে দেখা গিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি কটাক্ষ করতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু অবশেষে আবার তাল কেটেছে বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট না পাওয়ার পর। বিজেপি ছেড়ে এখন আবার শোভন চট্টোপাধ্যায় নিষ্ক্রিয়। আর এটাই মেনে নিতে পারছেন না তাঁর বাড়ির সদস্য! এক কথায়, তাঁর ছেলে ঋষি। তিনি চান তাঁর বাবা আবার রাজনীতিতে সক্রিয় হন।
ঋষির বক্তব্য, গণতান্ত্রিক দেশে যে কেউ যে কোনও রাজনৈতিক দল করতেই পারেন, দল বদলে কোনও সমস্যা থাকার কথা নয়। কিন্তু একজন রাজনৈতিক নেতা যদি হঠাৎ এইভাবে নিষ্ক্রিয় হয়ে জান তাহলে সেটা মানা যায় না। তাই তিনি চান, বাবা শোভন চট্টোপাধ্যায় দ্রুত সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরে আসুন। তা তিনি বিরোধী রাজনৈতিক দলেই যোগ দিন না কেন, অসুবিধা নেই। কারণ, গণতন্ত্রে মতাদর্শের পার্থক্য হতেই পারে। এদিকে, বেহালা পূর্বে এবার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন তাঁর মা অর্থাৎ শোভন চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়। এখন তাঁর প্রচারেই তাঁকে সাহায্য করছেন ঋষি। উল্লেখ্য, এই কেন্দ্রেই বিজেপির প্রার্থী হতে পারে শোভন এমন জল্পনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সবশেষে প্রার্থী ঘোষণা করা হয় অভিনেত্রী পায়েল সরকারকে। অন্যদিকে, বেহালা পশ্চিমে বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন অন্য এক অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়।
পূর্ব বেহালা বিধানসভা আসন বরাবরই শোভন চট্টোপাধ্যায়ের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। স্বাভাবিক ভাবেই সেখান থেকে এবারের ভোটেও পদ্ম টিকিটে লড়ার আশা করেছিলেন প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু এবার পূর্ব বেহালার আসন থেকেই সবচেয়ে বড় চমকের সাক্ষী থেকেছে বাংলা। শোভন বৈশাখীকে বঞ্চিত করে তারকা প্রার্থী পায়েল সরকারের নাম ঘোষণা করেছে গেরুয়া শিবির। এরপর শোভন চট্টোপাধ্যায় যে খুব বেশিদিন বিজেপিতে থাকবেন না, তা আন্দাজ করেছিলেন অনেকেই।