কলকাতা: এতদিন শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দোপাধ্যায়কে নিয়ে বিজেপির অন্দরেই ছিল বিস্তর ধোঁয়াশা। আপাতত সেসব অতীতে রেখে দলের হয়ে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে পরপর বেশ কিছু কর্মসূচি ঘোষণা করেন প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা মেয়র। একই সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ফের একবার ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে শোভন বিস্ফোরক অভিযোগ জানিয়ে দাবি করেন, সমস্ত সীমানা ছাড়িয়ে ফোনে আড়িপাতা হচ্ছে। তবে এইভাবে বেশিদিন চলবে না। তৃণমূল কংগ্রেসের পায়ের তলার মাটি সরে গেছে। একই সঙ্গে তৃণমূল যাদের পায়ের তলার মাটি কেড়ে নিয়েছে তাদের পাশে বিজেপি থাকবে বলেও দাবি করেন শোভন। এই প্রেক্ষিতে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস যদি গায়ের জোর দেখাতে চায় তাহলে ব্যবস্থা করবে বিজেপি! একই সঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ২০১৯ সালের নির্বাচন গায়ের জোরে করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস।
সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি আরও জানান, আগামী ১৮ জানুয়ারি বিষ্ণুপুরে এবং ২৭ জানুয়ারি বারুইপুরে মিছিল করবেন তাঁরা। এদিকে সপ্তাহে দুইদিন করে দলীয় কার্যালয়ে আসবেন বলেও জানান শোভন চট্টোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি কৃষকদের নিয়ে নতুন অভিযান করার কথা ঘোষণা করেন তিনি। জানান কৃষকদের কাছ থেকে শস্য সংগ্রহ অভিযান করা হবে।একই সঙ্গে এদিন শোভন বলেন, এখন তাদের একটাই কাজ সাধারণ মানুষের সবচেয়ে কাছে পৌঁছানো এবং তাদের মত সুরক্ষিতভাবে ব্যালট বাক্সে পৌঁছে দেওয়া। এদিন সাংবাদিক বৈঠকের শুরুতেই শোভন চট্টোপাধ্যায় স্পষ্ট করে দেন, ভারতীয় জনতা পার্টিতে কলকাতা জোন বলে একটি জোন তৈরি হয়েছে। এই জোনের দায়িত্বে যারা রয়েছে তারা আজ এই নতুন কার্যালয় থেকে নিজেদের কাজ শুরু করবে বলে জানিয়েছেন শোভন। তিনি ছাড়াও এই নতুন দায়িত্বে রয়েছেন, শঙ্কুদেব পান্ডা, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দেবজিৎ সরকার। মূলত ৬ টি জেলা নিয়ে জোন তৈরি হয়েছে। সেই জেলা গুলি হল, দক্ষিণ কলকাতা এবং উত্তর কলকাতা, ডায়মন্ড হারবার, মথুরাপুর, জয়নগর পূর্ব-দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দমদম এবং সংলগ্ন এলাকা।