মমতাকে দেখলে কষ্ট হয়, চিটফান্ড প্রসঙ্গে কুণালকে তুলোধনা শোভনের

মমতাকে দেখলে কষ্ট হয়, চিটফান্ড প্রসঙ্গে কুণালকে তুলোধনা শোভনের

 

কলকাতা: দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে এদিন অবশেষে বিজেপির রোড শো করলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ গোলপার্কের আবাসন থেকে বেরিয়ে হুড খোলা জিপে উঠে পড়লেন দুজনে। তারপর সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে দিতে তৃণমূল কংগ্রেস, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে বিভিন্ন ইস্যুতে একহাত নিলেন শহরের প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। মূলত চিটফান্ড ইস্যুতে কুণাল ঘোষকে বিঁধলেন তিনি। একইসঙ্গে জানালেন আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখলে তাঁর কষ্ট হয়।

এদিন শোভন চট্টোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হয় তৃণমূল যে অভিযোগ তুলছে তার ব্যাপারে। রাজ্যের শাসক দলের অভিযোগ, দলবদল করে যারা বিজেপিতে যোগদান দিচ্ছেন তারা আদতে সিবিআই এবং ইডির ভয় পাচ্ছেন। তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে গিয়ে অনেক টাকা পাচ্ছেন। এই প্রসঙ্গে শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাচ্ছে তাই এইসব কথা বলছেন তিনি। এই সরকারকে বাঁচানো খুব মুশকিল। শোভনের কথায়, যারা জীবনের পরোয়া না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরকে প্রতিষ্ঠা করেছিল, যে স্বপ্ন নিয়ে কাজ করা শুরু করেছিল তার থেকে আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক দূরে সরে গেছেন। এইসব ভাবনা কষ্ট দেয় বলে ব্যাখ্যা দিয়েছেন শোভন। পাশাপাশি এও জানিয়েছেন, বাংলায় বিজেপি সরকার আসছে এটা নিশ্চিত। ‌ কিছু করার নেই।

এদিকে চিটফান্ড প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে একহাত নিয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, কুনাল ঘোষের এমনকি যোগ্যতা ছিল যে তিনি কত টাকার বিনিময়ে সাংবাদিকতা করবেন। আজ যে যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে, চিটফান্ড ইস্যুতে সেই সব জিনিস কুনাল ঘোষ নিয়ে এসেছেন। মূলত চিটফান্ডকে বিক্রি করার ব্যবসায় নেমে ছিলেন কুনাল ঘোষ, এমনই দাবি করেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে বিজেপির রোড শোতে শোভন এবং বৈশাখী থাকার কথা থাকলেও তারা দুজন সেখানে যাননি। সেই নিয়ে বিস্তর বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল, অন্যদিকে বেশ খানিকটা অস্বস্তিতে পড়ে ছিল বিজেপি নেতৃত্ব। তবে আজ শেষ পর্যন্ত বিজেপির মিছিলের হাজির হলেন শোভন-বৈশাখী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *