কলকাতা: তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার পর বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন ঠিকই কিন্তু বহুদিন নিষ্ক্রিয় ছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। পরে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিজেপির প্রচারে ব্যাপকভাবে সক্রিয় হয়ে ওঠেন বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে। কিন্তু প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে তাঁর এবং পরবর্তী ক্ষেত্রে দল ছেড়ে দেন তিনি। বাংলার নির্বাচনে পর্যুদস্ত হয়ে গিয়েছে বিজেপি। এবার এই প্রেক্ষিতে মুখ খুলে রাজ্য বিজেপি নেতাদের একহাত নিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তিনি দাবি করলেন, অমিত শাহ সহ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে ভুল বুঝিয়েছিল রাজ্যের বিজেপি নেতারা।
২০০ আসনের স্বপ্ন দেখে বিজেপি বাংলার নির্বাচনে পেয়েছে মাত্র ৭৭ টি আসন। ব্যাপক বিপর্যয়ের কারণ খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই একাধিক বৈঠক করে ফেলেছে বিজেপি নেতৃত্ব কিন্তু স্পষ্ট ভাবে কোনরকম পর্যবেক্ষণে আসতে পারেনি তারা। এবার বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বকে নিশানা করেন প্রাক্তন বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায় বললেন, ভুল তথ্যের ওপর রণনীতি নির্ধারণ করে ভোটে লড়েছিল বিজেপি এবং সেই কারণেই এমন অবস্থা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে রাজ্য বিজেপি নেতারা ভুল বুঝিয়ে ছিল, বাস্তবের সঙ্গে তাদের দেওয়া তথ্যের কোন মিল ছিল না। এই কারণেই বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে নাস্তানাবুদ হতে হয়েছে বিজেপি শিবিরকে। এমন দাবি করেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। এদিকে নির্বাচনে তাঁকে প্রার্থী না করা প্রসঙ্গে শোভন জানিয়েছেন, তাঁর আসন বদলানো হয়েছিল সেই কারণে তিনি অপমানিত হয়েছিলেন। ভোটে যারা হেরেছিল তাদের আসন বদলানো হয়নি কিন্তু তাঁর ক্ষেত্রে সেটা করা হয়েছিল বলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে দল ছেড়েছেন।
আরও পড়ুন- ‘উনি তো ওদেরেই লোক’, রাজ্যপালের সঙ্গে শাহী বৈঠক নিয়ে কটাক্ষ মমতার
উল্লেখ্য, প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করার পর শোভন চট্টোপাধ্যায় বিজেপি ছেড়ে পুরোপুরি রাজনীতি থেকে নিষ্ক্রিয় হয়ে যান। তাঁর সঙ্গে দল ছেড়েছিলেন তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। পরবর্তী ক্ষেত্রে নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর নারদ মামলায় গ্রেফতার করা হয় শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। তখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করতে শোনা যায় বৈশাখীকে। একইসঙ্গে বিজেপি প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে বলে আওয়াজ তোলেন তিনিও। এখন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য যে বিজেপির অস্বস্তি আরও বাড়াবে তা বলাই বাহুল্য।