কলকাতা: দীর্ঘ টালবাহানার পর বিজেপির রোড শোয়ে হাজির হয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছিল যে বিজেপি শিবিরে হয়তো নিজেদের মানিয়ে নিতে পারছেন না তাঁরা। এমনকি বিজেপি নেতাদের মন্তব্য ঘিরেও জল্পনা সৃষ্টি হয়েছিল। তবে আপাতত এখন সব অতীত। বিজেপির হয়ে সক্রিয় হতে শুরু করেছেন শোভন এবং বৈশাখী। এদিন নতুন কার্যালয়ের সূচনার প্রেক্ষিতে সাংবাদিক বৈঠক করে পরপর কর্মসূচির ঘোষণা করেন বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়।
এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি জানান, আগামী ১৮ জানুয়ারি বিষ্ণুপুরে এবং ২৭ জানুয়ারি বারুইপুরে মিছিল করবেন তাঁরা। এদিকে সপ্তাহে দুইদিন করে দলীয় কার্যালয়ে আসবেন বলেও জানান শোভন চট্টোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি কৃষকদের নিয়ে নতুন অভিযান করার কথা ঘোষণা করেন তিনি। জানান কৃষকদের কাছ থেকে শস্য সংগ্রহ অভিযান করা হবে। এর পাশাপাশি এই দিনে তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করে শোভন চট্টোপাধ্যায় জানান, সমস্ত সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে শাসক দল, ফোনে আড়িপাতা হচ্ছে। তাই দলীয় কর্মীদের তিনি নির্দেশ দিয়েছেন হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করতে। একই সঙ্গে এদিন শোভন আরো একবার দাবি করেন, তৃণমূল কংগ্রেসের পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। এখন তাদের একটাই কাজ সাধারণ মানুষের সবচেয়ে কাছে পৌঁছানো এবং তাদের মত সুরক্ষিতভাবে ব্যালট বাক্সে পৌঁছে দেওয়া।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকের শুরুতেই শোভন চট্টোপাধ্যায় স্পষ্ট করে দেন, ভারতীয় জনতা পার্টিতে কলকাতা জোন বলে একটি জোন তৈরি হয়েছে। এই জোনের দায়িত্বে যারা রয়েছে তারা আজ এই নতুন কার্যালয় থেকে নিজেদের কাজ শুরু করবে বলে জানিয়েছেন শোভন। তিনি ছাড়াও এই নতুন দায়িত্বে রয়েছেন, শঙ্কুদেব পান্ডা, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দেবজিৎ সরকার। মূলত ৬ টি জেলা নিয়ে জোন তৈরি হয়েছে। সেই জেলা গুলি হল, দক্ষিণ কলকাতা এবং উত্তর কলকাতা, ডায়মন্ড হারবার, মথুরাপুর, জয়নগর পূর্ব-দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দমদম এবং সংলগ্ন এলাকা।এই সবকটি জায়গার পর্যবেক্ষক হিসেবে নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়।